Archive for the ‘যৌন শিক্ষা’ Category

আমাদের বেশীরভাগ লোকের জন্য যে কোন মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখা একটি মানসিক আঘাতের কারন হতে পারে। কিন্তু অনেক দিন ধরে এমন পরিস্থিতির মধ্যে থাকলে তখন এটা খুব স্বাভাবিকই মনে হবে। এমনই অনুভুতি হয়েছে সুদানিজ রিটারনির ব্লগের লেখকের ক্ষেত্রে বেশ কয়েক বছর ইউরোপে থেকে উত্তর সুদানের জুবাতে ফিরে আসার পর। এই অন্চলে দুই দশক ধরে রক্তাক্ত যুদ্ধ হচ্ছে।

বহুদিন ধরে আমি বুঝতে পারতাম না যে আমার কেন মনে হয় যে আমি কম বয়সে মারা যাব। ইউরোপে মানুষ আবহাওয়া নিয়ে যে ভাবে কথা বলে জুবাতে মানুষ দুর্ঘটনা আর মৃত্যু নিয়ে সেই ভাবে কথা বলে।

জুবাতে আসার ২ দিন পরে একটি ঘটনায় আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। আমি বাসার বাইরে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে বসে ছিলাম… এর পরে একটা চিৎকার… মনে হলো কেঊ ব্যথা পেয়েছে, ভয় আর বিশৃঙ্খলার মধ্যে আছে।

একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে…তার মাথা চুর্নবিচুর্ণ হয়ে গেছে….মনে হয় সে আঘাত পাবার সাথে সাথে মারা গেছে। তারপর শুনলাম যে আর একজন মারা গেছে…।

পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল যে সে মারা গেছে, কিন্তু তারপরেও কিছু লোক তার নাড়ী দেখার চেষ্টা করে ঘোষনা করলো যে সে মারা গেছে। তারা একই মার সন্তান!

ধীরে ধীরে ভিড় কমে গেল…কারন তাদের জন্য এটি জুবার আর একটি সাধারন দিন। এই মৃতের মা আর আমার জন্য এটি একটা দিন যা আমরা কখনো ভুলবোনা।

সুদানিজ রিটারনির শরীর খারাপ লাগছিল। সে ডা. কোনিয়োকোনিয়োকে তার ক্লিনিকে খুজে পায়নি। তার কারন হয়তবা ডা কোনিয়োকোনিয়ো উত্তর সুদানে স্বাস্থ্য বিষয়কে গুরুত্ব দেয়ার ব্যাপারে একটা ব্লগ লিখছিলেনঃ

আপনি কেমন করে বেছে নেবেন কোন সমস্যাটা নিয়ে আগে কাজ করবেন? যখন সুদানের সরকার আসলো তারা অনেক জিনিষ ঠিক করার কথা দিয়েছিল যেমন হাসপাতাল, ক্লিনিক আর স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি; পুরানো হাসপাতাল ঠিক করা হবে আর সব জায়গায় স্বাস্থ্য জরীপ করা হয়েছিল। তারপর কি হলো?

এটি দু:খজনক যে বেশীরভাগ কথা কাজে পরিণত হয়নি… স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমাদের বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিত।

দ্রিমা, দা সুদানিজ থিঙ্কার ব্লগ জানিয়েছে কি করে একটা শিশুকে ব্যর্থ একটি হত্যা পরিকল্পনায় ব্যবহার করা হয়েছেঃ

সাক্ষীরা বলল যে একজন অজ্ঞাত লোক একটা বাচ্চার হাতে বিষ্ফোরক দিয়ে তাকে মঞ্চে যেখানে কোদি ছিল সেখানে যেতে বলে। কিন্তু বাচ্চাটা মঞ্চে যাওয়ার আগে বিষ্ফোরকটি ফেটে যায়।

সে ওমর আল-বাশির যে ইটালিতে পোপের সাথে দেখা করেছে তার ছবিও পাঠিয়েছে!!

লিটল মিস ডালু নারীদের খৎনা করাকে যৌন হয়রানির সাথে তুলনা করে তার চিন্তা ব্যাখ্যা করেছেন:

আমি এই লেখার নাম “যৌন হয়রানি হিসাবে এফজিএম (ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন)” লিখেছি কারন আমি মনে করি মহিলাদের যৌনাংগের কিয়দংশ কাটা তাদের উপর একধরনের নির্যাতন। এই কাজের মাধ্যমে তাদেরকে শ্রেনীভুক্ত করা হয়, তার শরীরে হাত দেয়া হয় আর তার যৌনতা লঙ্ঘন করা হয় (তার দেহ থেকে অপ্রয়োজনীয় মনে করা একটা অংশকে বাদ দিয়ে)। তার শরীরকে আর একজনের আনন্দের জন্য ঠিক করা হয়। এটা আসলে নিয়ন্ত্রন যা সতীত্বের নামে করা হচ্ছে।

হোলহার্টেডলি সুদানিয়া জিজ্ঞেস করেছেন, ”দারফুরঃ কে শান্তি চায়?

… সুদানের দারফুরের আফ্রিকান ইউনিয়নের আর্মী বেইজে বিদ্রোহীদের আক্রমনে ১০ জন শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে যার ফলে আন্তর্জাতিক নিন্দার ঝড় উঠেছে। (উৎস)

আমি ভাবছি দারফুরবাসি এ ব্যাপারে কি ভাবছে, ”এই যে আবার শুরু হলো…স্বার্থপর বোকারা শান্তি প্রক্রিয়াটা যে কোন মূল্যে থামাতে চায়।”

খার্তুমে এসপিএলএম দলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযানের ব্যপারে দ্যা সুদানিজ আমেরিকান মন্তব্য করেছেন:

এই ধরনের কাজের কারনে সুদানকে একত্রে রাখা কষ্টকর। এটির ফলে ভুল ইঙ্গিত যায় শুধুমাত্র উত্তর সুদানবাসীর কাছে না, দক্ষিনবাসীদের কাছেও। দুই বছরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হচ্ছে, আশা আছে যে যুক্ত সরকার গনতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাবে আর ক্ষমতাশীল জাতীয় কংগ্রেস দল নির্বাচনের ফলাফল গ্রহন করবে, কিন্তু এখন মনে হয় এরকম কিছু হবেনা।

শেষে আমি আপনাদের কাছে পাথ২হোপের “নিউ বিগিনিং” নামক লেখা থেকে উদ্ধৃত করছিঃ

আমি ইংল্যান্ডে এসেছি আর খুশি যে আবহাওয়া ভালো, চারদিক ধুসর আর বাতাস বইছে একটু বৃষ্টিসহ যেমন আমি আশা করেছি।

… কালকে ট্রেনে করে আমি ইউনিভার্সিটি যাব, জানিনা কি আশা করছি, কিন্তু নিশ্চয় ভালো কিছু, আমাকে শুভেচ্ছা জানাবেন।

সুদানে নিশ্চয়ই কোথাও ভালো কিছু হচ্ছে, কিন্তু তার থেকে বেশী খারাপ জিনিষ হচ্ছে। সুদানিদের নতুন একটা শুরু দরকার।

সুদানীজ দ্রিমা

অনুবাদ প্রকাশের তারিখ 17 অক্টোবর 2007

 

ডয়েচে ভেলে:  নারী-পুরুষের সহবাস বা লিভ-ইন সম্পর্ক বিবাহের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না৷ সেক্ষেত্রে পুরুষ সঙ্গী সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে গেলে, মহিলা পার্টনার আইনত তাঁর কাছ থেকে খোরপোষ দাবি করতে পারেন না৷ তাই এ জন্য প্রয়োজন পৃথক আইন৷

ARCHIV - Ein junges Liebespaar geht Hand in Hand nahe dem brandenburgischen Müncheberg in den Sonnenuntergang, aufgenommen am 21.08.2005. Die Tage werden länger und die viel bedichteten und besungenen Frühlingsgefühle keimen auf. Foto: Patrick Pleul dpa/lbn (zu dpa-Themenpaket Frühlingsanfang am 19.03.2012) +++(c) dpa - Bildfunk+++ +***FREI FÜR SOCIAL MEDIA***

প্রতীকী ছবি

সহবাস বা লিভ-ইন করার আগে মহিলা পার্টনারকে জানতে হবে যে, তাঁর পুরুষ সঙ্গি বিবাহিত কিনা৷ বিবাহিত হলে তাঁর কাছ থেকে যে খোরপোষের দাবি করা যাবে না, সেটা মনে রাখতে হবে৷ তাই লিভ-ইন করার আগে পুরুষ বা মহিলার বৈবাহিক সম্পর্ক দেখে নেবার সতর্ক-বার্তা দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট৷

Killer Love: Love and Sexual relations have emerged as the third most common cause for the Murders in India last year. Foto: DW, Kolkata on 18-09-2013.

নারী-পুরুষের সহবাস বা লিভ-ইন সম্পর্ক বিবাহের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না

২০০৫ সালের পারিবারিক হিংসা আইনের ব্যাখ্যাকালে শীর্ষ আদালতের রায়: কোনো বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে যদি কোনো মহিলা জেনে বা না জেনে সহবাস করে থাকেন, তাহলে তা এই আইনের আওতায় পড়ে না৷ কারণ এটাকে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধরা যায় না৷ তাই পারিবারিক হিংসা আইন এখানে প্রযোজ্য হতে পারে না৷ বরং পুরুষের বিবাহিত স্ত্রী এই যুক্তিতে তাঁর স্বামীর লিভ-ইন মহিলার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারেন যে, ঐ মহিলা তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদের স্বামীর বা সন্তানের পিতার স্নেহ, ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করেছেন৷

সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এটা ভালোমতোই জানেন যে, একজন বিবাহিত পুরুষ লিভ-ইন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গেলে তাঁর সামাজিক বাস্তবতা একজন মহিলা এবং লিভ-ইন জাত সন্তানের পক্ষে কতটা বেদনাদায়ক ও কষ্টকর হতে পারে৷ বিশেষ করে, গরিব ও অশিক্ষিত মহিলাদের৷ এর প্রতিবিধানে শীর্ষ আদালত মনে করেন, সংসদের উচিত উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা৷ লিভ-ইন বা বিবাহ জাতীয় সম্পর্ক থাকা কোনো অপরাধ নয়, পাপও নয়, তবে ভারতের মতো দেশে সামাজিক দিক থেকে গ্রহণযোগ্যও নয়৷

লিভ-ইন জাতীয় সহবাসকে আইনি বৈধতা দিলে ভারতের মতো দেশে তার সামাজিক অভিঘাত কী হতে পারে? এর উত্তরে কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল স্টাডিস-এর অধ্যাপক দেবদাস ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, সামাজিক প্রতিবাদ বা সমালোচনা ওঠা স্বাভাবিক৷ কিন্তু সমাজসচেতন ব্যক্তিরা সহবাসের আইনি বৈধতা দেবার মধ্যে কোনো দোষ দেখেন না৷ তবে তার আগে নির্ধারিত করতে হবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষিত পুরুষ ও মহিলার মধ্যে লিভ-ইন বা সহবাসের সংজ্ঞাটা কী হবে৷ শুধুই যৌন সম্পর্ক নয়, থাকবে মানবিক দায়দায়িত্ব, জড়িত থাকবে সম্পত্তির অধিকারও৷ বহু পশ্চিমা দেশে লিভ-ইন নিয়ে আজ আর কেউ মাথা ঘামায় না৷ কিন্তু ভারতীয় সমাজে সেটা মেনে নেয়া সহজ হবে না, বলেন সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক দেবদাস ভট্টাচার্য৷

জৈনকা নারী বহু বছর লিভ-ইন করেছিলেন বিবাহিত ও দুই সন্তানের পিতা ভি. কে শর্মার সঙ্গে৷ পরে ভি. কে শর্মা ফিরে যান তাঁর আগের স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে৷ লিভ-ইন করা ঐ মহিলা ক্ষতিপূরণের মামলা করলে নিম্ন আদালত খোরপোষ হিসেবে উক্ত ব্যক্তিকে মাসে ২৫ হাজার টাকা করে খোরপোষ দেবার আদেশ দেন৷ কিন্তু উচ্চ আদালতে তা খারিজ হয়ে যায়৷ কারণ শীর্ষ আদালতে মতে, ঐ মহিলা জেনেশুনে বিবাহিত ঐ পুরুষকে লিভ-ইন পার্টনার করেছিলেন৷ কাজেই, চলতি আইনে ঐ লিভ-ইন সম্পর্ক বিবাহ জাতীয় নয়৷ বড় জোর উপ-পত্নী৷ লিভ-ইন সম্পর্ককে বিবাহ জাতীয় বলে গণ্য করতে হলে কয়েকটি মাপকাঠি থাকা জরুরি৷ যেমন কতদিনের সহবাস, গৃহস্থালি ভাগ, আর্থিক ব্যবস্থা, দৈহিক ও মানসিক সম্পর্ক, সন্তান প্রতিপালন, সামাজিকতা ইত্যাদি৷

অন্যান্য খবর: 

ডয়েচে ভেলে: পরপুরুষ কিংবা পরনারীর সঙ্গে বিছানায় যাওয়ার রগরগে কাহিনি নিয়ে ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলোকে সরব হতে দেখা যায়৷

Symbolbild - Ein Liebespaar im Bett

প্রতীকী ছবি

তবে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ই যখন জেনেশুনে দিনের পর দিন অন্যের সঙ্গে যৌন মিলন করেন এবং নিজেদেরকে ‘সুখি জুটি’ বলে পরিচয় দেন, তখন সে সংবাদ নিশ্চয়ই অনেক বেশি চাঞ্চল্যকর৷

লন্ডনের স্যারা মুর এবং জেফ ড্যানিয়েল তাই সংবাদ শিরনামে৷ ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড সান জানিয়েছে, ২০ বছর ধরে চলছে অবিবাহিত এই জুটির সংসার৷ দু’জন এই সময়ের মধ্যে নাকি ৫ হাজার ৪৮৫ জন নারী ও পুরুষের সঙ্গে বিছানায় গিয়েছে৷

আদতে এই দুজনই পেশায় সেক্স থেরাপিস্ট৷ নিয়ম অনুসারে এ নিয়ে যদি কেউ কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে তারা এই থেরাপিস্টদের কাছে আসবে, তারা পরামর্শ দেবে৷ প্রয়োজনে ‘কী করিলে কী হয়’ জাতীয় কথাবার্তা জানাবেন৷ কিন্তু স্যারা মুর এবং ড্যানিয়েল ভিন্ন কাজ করেন৷ তারা একটু ‘বিশেষ’ বলে চিকিৎসকরা তাদের কাছে রোগীদের পাঠান৷ এবং বেশিরভাই সময় ঐ ব্যক্তিদের সঙ্গে বিছানায় যেতে হয় তাদের৷

স্যারা মুর ১৯ বছরে ৩ হাজার ৩২৩ জন পুরুষের সঙ্গে বিছানায় গিয়েছেন৷ আর এদের মধ্যে ৫২ জন ছিল কৌমার্য হারায়নি এমন পুরুষ৷ আর স্যারার দীর্ঘদিনের বয়ফ্রেন্ড ড্যানিয়েল, যার বয়স ৪০, তিনি বিছানায় গিয়েছেন ২ হাজার ১৬২ জন নারীর সঙ্গে৷ আর তিনি ৪৯ জন নারীর কৌমার্য ভাঙাতে সহায়তা করেছেন৷ স্যারা মুর বললেন, ‘বিষয়টিকে আমরা কেবল সাহায্য বলেই মনে করছি৷ এটাকে কোনভাবেই গণিকা পেশা বলে মনে করি না আমরা৷ তিনি বলেন, সমস্যায় পড়া মানুষকে সহায়তা করা হচ্ছে চিকিৎসকদের পরামর্শে৷ এ থেকে আমাদের রোজগারও বেশ৷ আমাদের সঙ্গে মিলনের পর স্বভাতই সেই পুরুষ কিংবা মহিলা যৌনভীতি থেকে মুক্তি পান৷’

১৫ বছর বয়সে নিজের কুমারীত্ব হারান মুর৷ ২০ বছর বয়সে তার পরিচয় হয় ড্যানিয়েলের সঙ্গে৷ সেই থেকে তারা একসঙ্গে আছেন৷ আর তখন থেকেই তারা এই পেশাতেই রয়েছেন৷

 

ডয়চে ভেলে: গ্রীষ্মে বার্লিন রূপ নেয় বিশাল, খোলা আকাশের নীচে পার্টির একটি স্থান হিসেবে৷ বার্লিনবাসী সাধারণত যা ঘরের মধ্যে করতে ভালোবাসেন, গ্রীষ্মে সেসব করেন ঘরের বাইরে, জানাচ্ছেন ডয়চে ভেলের লিয়া ম্যাকডোনেল৷

গ্রীষ্মের প্রথম প্রখর সূর্যোদয়কে বার্লিনবাসী মনে করেন সবুজ সংকেত৷ এই সংকেত পেয়ে তাঁরা নিজেদের যাবতীয় ব্যক্তিগত বিষয়াদি খোলা আকাশের নীচে নিয়ে যান৷ এই সবের মধ্যে তাঁদের শোবার ঘরও পরে৷

ফলে শোবার ঘরের কাজ বলে আমরা যা মনে করি, মানে যৌন মিলন, সেটাও বার্লিনবাসী সারেন প্রকাশ্যে খোলা আকাশের নীচে৷ এই ধারা নাকি ক্রমশ বাড়ছে৷ আর এই কাজে স্থান বিবেচনার ক্ষেত্রে তাঁদের কোনো বাছবিচার নেই৷ পার্ক, রাস্তা, পার্কিং-এর জায়গা, নদীর পাড়, বাগান, এমনকি বাড়ির ছাদ – যেখানে সম্ভব সেখানেই শুয়ে পড়ছেন তাঁরা৷

এ বছর অবশ্য বার্লিনে গ্রীষ্ম একটু দেরিতে শুরু হয়েছে৷ ব্যাপক বৃষ্টিপাত এবং হঠাৎ ঠান্ডার জন্য এই পরিস্থিতি৷ তাসত্ত্বেও খোলা আকাশের নীচে যৌনাচার শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে৷ বিষয়টি এত তীব্র আকার ধারন করছে যে শহর কর্তৃপক্ষও উদ্বিগ্ন৷

জার্মান পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনযায়ী, ২০১২ সালে মুক্ত পরিবেশে সঙ্গমে অংশ নেওয়া ২৩৯ ব্যক্তিকে জরিমানা করেছে পুলিশ৷ গড়ে তাঁদের দেড়শো ইউরো করে জরিমানা করা হয়েছে৷ আগের তিন বছরের তুলনায় জরিমানার এই হার প্রায় দ্বিগুন৷

বার্লিনের সবচেয়ে বড়, বিখ্যাত বাগানটি হচ্ছে ‘টিয়ারগার্টেন’ এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘ট্রেপটাওয়ার পার্ক’৷ মুক্ত পরিবেশে শারীরিক মিলনের জন্য এই দু’টি জায়গাই বার্লিনবাসীর সবচেয়ে পছন্দ৷ টিয়ারগার্টেনের একটি অংশে মিলনে আগ্রহীদের ভিড় এত বেশি যে সেখানে পুলিশ বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা চালুতে বাধ্য হয়েছে৷

তবে বার্লিনের সব বাসিন্দাই যে এমনটা চান, তা কিন্তু নয়৷ সাধারণভাবে তাঁরা অত্যন্ত উদার হলেও অনেকে খোলা আকাশের নীচে এরকম সঙ্গম রোধ বা অন্ততপক্ষে নিয়ন্ত্রণের পক্ষে৷ জার্মান আইনে অবশ্য পাবলিক প্লেসে নগ্ন হতে কোনো বাধা নেই৷ আরো বিভ্রান্তিকর ব্যাপার হচ্ছে, খোলা আকাশের নীচে যৌন মিলনেও আইন অনুযায়ী বাধা নেই – শুধু অন্তত একটি টাওয়েল ব্যবহার করে নিজেদের ঢেকে রাখতে হবে৷

রাজধানীতে নগ্ন সংস্কৃতি

গভীর রাতে খোলা পরিবেশে উন্মত্ত যৌন মিলন, যার দর্শক শুধু কাঠবিড়ালিরা – এমন হলেও না হয় মানা যেত৷ কিন্তু প্রকাশ্যে দিনেরবেলা এরকম মিলন দৃশ্য বোধহয় শোভনীয় নয়৷ বিশেষ করে যাঁরা যৌনতার বিষয়াদি দরজার আড়ালে, চার দেয়ালের মধ্যে রাখতে পছন্দ করি, তাঁদের জন্য বিব্রতকরও৷

তবে বার্লিনে কিন্তু নগ্নতাবাদ, জার্মান ভাষায় যাকে বলে ‘ফ্রাইকর্পারকুলট্যুর’ নতুন নয়৷ ১৯২০ সালের দিকে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সেখানে নগ্ন দেহের প্রদর্শনী শুরু হয়৷ আর নগ্নতা বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয় বার্লিনে, ১৯২৯ সালে৷

২০১৩ সাল, মানে চলতি বছর খোলা আকাশের নীচে সঙ্গম প্রতিরোধে বেশ সক্রিয় পুলিশ৷ সামাজিক ন্যায়বিচারের স্বার্থে এটা করছে তারা৷ কিন্তু প্রতিরোধ সহজ নয়৷ সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পথে কিংবা গাড়ি থামিয়ে হঠাৎ হয়ত কোনো জুটি কোথাও শুরু করে দিল সঙ্গম৷ ফলে দ্রুত তাঁদের ঠেকানো কঠিন৷ তবে এই চর্চা বাড়ায় শহরের খানিকটা লাভও হচ্ছে৷ প্রকাশ্যে সঙ্গমরতদের ধরতে পারলেই আর্থিক জরিমানা করছে পুলিশ৷ এভাবে অনেক টাকা আয় হচ্ছে৷

অবশ্য জরিমানার ক্ষেত্রে নিয়ম খানিকটা শিথিল করেছে কর্তৃপক্ষ৷ বেকাররা এক্ষেত্রে ছাড় পাবে৷ রাস্তাঘাটে সঙ্গমরত অবস্থায় ধরা পড়লে তাঁদের জরিমানা ৩৪ ইউরো৷

বার্লিনবাসী এবং সস্তায় বার্লিন ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য আমার কিছু পরামর্শ রয়েছে৷ আপনাদের উচিত হবে গ্রীষ্মে ঠিকঠাক পোশাক পরে রাস্তায় বের হওয়া৷ তাতে করে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানগুলো রোদে পোড়া থেকে রক্ষা পাবে৷ সুস্থ জীবনের জন্য এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷

 

 

 

ডয়েচে ভেলে:  মধ্যপ্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড কোন দেশকে বলা হতো জানেন? উত্তরটা হলো লেবানন৷ সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি মানুষের মাঝে ছিল না কোনো কুসংস্কার৷ কিন্তু বর্তমানে গর্ভপাতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় জটিলতায় পড়েছেন সেখানকার নারীরা৷

বিবাহের আগে যৌন সম্পর্ক এবং এ কারণে গর্ভধারণ লেবাননের সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়, কেননা তা ধর্মবিরোধী৷ একইসাথে সেখানে গর্ভপাত কেবল অবৈধই নয় একেবারে নিষিদ্ধ৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৯ বছর বয়সি এক নারী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ তাই বাধ্য হয়ে দারস্থ হয়েছিলেন প্রাইভেট ক্লিনিকের৷ নিজের অর্থ না থাকায় বন্ধুদের কাছ থেকে ৩৭০ ইউরো জোগাড় করে ক্লিনিকের ব্যয় মেটাতে হয়েছিল৷ কিন্তু ক্লিনিকটি ছিল অপরিচ্ছন্ন এবং চিকিৎসক মোটেও অভিজ্ঞ ছিলেন না বলে জানান ঐ নারী৷ কিন্তু সমাজের ভয়ে গর্ভপাতে বাধ্য হয়েছিলেন৷

লেবাননের আইন অনুযায়ী, কেবল মার জীবন বাঁচানোর খাতিরে গর্ভপাত বৈধ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈরুতের এক গাইনোকলোজিস্ট জানিয়েছেন, প্রতি মাসে তিন থেকে চার জনের গর্ভপাত করিয়ে থাকেন তিনি৷

যৌন শিক্ষার অভাব

লেবাননের প্রথম যৌনবিদ বা সেক্সোলজিস্ট সানদ্রিনে আতাল্লাহ মনে করেন, তাঁর দেশে যৌন শিক্ষার অভাবই নারীদের অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের কারণ৷ তিনি জানান, লেবাননের কোনো অবিবাহিত মেয়ে কখনো গাইনোকলোজিস্টের কাছে যান না৷ আর স্কুলে কেবল জীববিদ্যা পড়ানোর সময় অল্পকিছু বিষয় থাকে, যা শিক্ষকরা বিস্তারিত পড়ান না, বরং এড়িয়ে যান৷

সানদ্রিনের বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন লেবাননের গাইনোকলোজিস্ট মোনা হাশেম-বারুদ৷ মোনা জানান, গর্ভনিরোধক পদ্ধতি এবং যৌনতা নিয়ে নারীদের মধ্যে ভুল ধারণা প্রচলিত আছে৷ মায়েরাও তাঁদের ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন৷ মায়েরা মেয়েদের বলেন, গর্ভনিরোধক পদ্ধতি, যেমন পিল ব্যবহার করলে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে৷

শারীরিক ও মানসিক ক্ষত

লেবাননের একটি ক্লিনিকে গর্ভপাত করাতে লাগে তিনশ থেকে ছয়শ ডলার৷ কিন্তু সরকারি হাসপাতালগুলোতে লাগে ৩ হাজার ডলার৷ তাই বেশিরভাগ নারী ক্লিনিকগুলোকেই বেছে নেন৷ এইসব ক্লিনিক স্বাস্থ্যসম্মত না হওয়ায় প্রায়ই শারীরিক অসুস্থতার শিকার হন নারীরা৷

লেবাননে গাইনোকলোজি সোসাইটির সভাপতি ডাক্তার ফয়সাল এল কাক জানালেন, তিনি এমন অনেক ঘটনা দেখেছেন, যেখানে গর্ভপাতের সময় জরায়ু ভালোমত পরিষ্কার না করায় রক্তক্ষরণ অব্যাহত থাকে৷ অনেক সময় জরায়ুতে সংক্রমণ হতে দেখা যায়৷ কোনো কোনো সময় এমন পরিস্থিতি দাঁড়ায় মেয়েটির জরায়ু অথবা তার জীবনের মধ্যে একটিকে বাঁচাতে হবে৷

কিন্তু সমাজে পরিবারের মুখ রক্ষার জন্য লেবাননের নারীরা এসব ঝুঁকি নিতে বাধ্য হচ্ছেন৷ এর ফলে শারীরিক সমস্যার সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্যেনরও অবনতি হচ্ছে তাঁদের৷

কেবল যে সরকার এসব ঘটনায় ভ্রুক্ষেপ করছে না এমন নয়, বেসরকারি সংস্থাগুলোরও একই অবস্থা৷ তারা এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের কোনো চেষ্টা করছে না৷

 

ডয়েচে ভেলে:

পাঁচ বছর আগেও বলা হতো ১৪ থেকে ১৭ বছরের জার্মান তরুণ-তরুণীরা নাকি আগে ভাগেই চলে যায় বিছানায়, বন্ধুর সঙ্গে শারীরিক মিলনে৷ ফলে এ নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন সমাজকর্মীরা৷

Symbolbild Intimitäten am Arbeitsplatz

প্রতীকী ছবি

কারণ এর ফলে অপ্রাপ্তবয়স্ক তরুণীরা অনাকাঙ্খিতভাবে গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং বেশিরভাগ সময়ে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটতো৷

কিন্তু হাল সময়ে করা এক জরিপে দেখা গেলো পাঁচ বছর আগের তুলনায় এই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করেছে৷ অপ্রাপ্তবয়স্ক বিশেষ করে ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের অনেকেই এখন অপেক্ষা করছে, বিছানায় যাবার আগে তারা আগেপিছে অনেক কিছু ভেবে নিচ্ছে৷

নতুন এই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, আগে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের মধ্যে শতকরা ১২ ভাগ বন্ধুর সঙ্গে যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতো৷ এখন সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে শতকরা সাতভাগে৷ আর পাঁচ বছর আগে ছেলেদের মধ্যে এই হার ছিল ১০ ভাগ৷ এখন সেই হার কমে দাঁড়িয়েছে শতকরা চার ভাগে৷

অন্যদিকে, ১৭ বছর বয়সি মেয়েদের মধ্যে বিশেষ অভিজ্ঞতা নেবার এই হার কমলেও ছেলেদের ক্ষেত্রে তেমন কমেনি বলেই প্রকাশ৷

ঐ গবেষণায় করা এক প্রশ্নের উত্তরে এই টিনএজার গ্রুপের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা আসলে মিস্টার রাইট অথবা মিসেস রাইটকেই খুঁজছেন৷ এ কাজে তারা বেশ খানিকটা সময় নিচ্ছেন৷ এক্ষেত্রে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে রাখার চিন্তাটাই তাদের মাথায় খেলছে৷ পছন্দের পাত্র বা পাত্রীকে খুঁজে বের করা তো সহজ নয়!- বলছেন তারা৷ জার্মান সরকারের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের পরিচালক এলিজাবেথ পট এমনটাই জানাচ্ছেন৷ তিনি বলছেন, টিনএজ গ্রুপের মানসিকতার এই পরিবর্তনের পেছনে অন্যতম কারণ হিসাবে কাজ করেছে যৌন শিক্ষা