Archive for the ‘আন্তর্জাতিক’ Category

প্রসেনজিতের সঙ্গে ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবন, অভিনয় তো আছেই, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় এখন বিজনেস ওম্যানও বটে! একান্ত আলাপচারিতায় উঠে এসেছে প্রসেনজিৎ-অর্পিতার দাম্পত্যজীবনের অজানা কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: আনন্দবাজার পত্রিকার দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ।

বলতে গেলে এখন তিনি প্রবাসী বাঙালি। ব্যবসার সূত্রে দিল্লিতেই থাকেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। শর্টস-টপ আর ছোট চুলের নায়িকাকে দেখলে বোঝা দুষ্কর, তাঁর বছর চোদ্দোর একটি ছেলে আছে। প্রসেনজিৎ-অর্পিতার ছেলে তৃষাণজিৎ ছুটিতে কলকাতায় এলেই অর্পিতাও চলে আসেন। ব্যস্ততার ফাঁকেই আড্ডায় অর্পিতা যা বললেন তা নিচে দেয়া হলো।

প্র: এই সময়টা আপনাদের ফ্যামিলি রিইউনিয়নের মতো।

উ: বছরের দু’টো সময় আমরা তিনজন একসঙ্গে হই। এই গরমকাল আর শীতে। এই সময় কোনও কাজ রাখতে চাই না। এ বার ‘শব্‌’-এর প্রচারে অনেক ঘোরাঘুরি করতে হচ্ছে।

প্র: ছেলে কি এই সময় প্রচুর আবদার করে?

উ: আসলে আবদার করার আগেই আমরা সব কিছু করে ফেলি। বাড়ি এলে কিছু কিছু জিনিস খেতে চায়। সেগুলো করে দিতে হয়। মিশুকের সে ভাবে কোনও বায়না নেই। এই সময়টায় ও বাড়িতেই থাকতে চায়। কোথাও যেতেও চায় না। আমিই জোর করে বেড়াতে নিয়ে যেতাম। প্রতি বছর আমি আর ছেলে মিলে কোথাও যাই। গত বার মাসাইমারা গিয়েছিলাম। এ বার ছবি রিলিজের কারণে সেটা হচ্ছে না।

প্র: মা-ছেলের এই ট্রিপগুলোয় প্রসেনজিৎ সামিল হন না? আপনারা তিনজন বাইরে ছুটি কাটাচ্ছেন এ রকম তো দেখা যায় না!

উ: কোনও বারই নয়। বুম্বাদা আসলে এতটাই ব্যস্ত যে, আমরাও বলি না। ও নিজে যে খুব বেড়াতে ভালবাসে তাও নয়। মিশুকের যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন থেকে আমরা দু’জন ঘুরে বেড়াই। তবে মিশুককে বলেছি, শীতের ছুটিতে কোথাও যাব। যদিও না গেলে ছেলে কিছুই বলবে না। ও বাড়িতেই মজা করতে চায়।

প্র: মিশুক হস্টেলে চলে গেলে আপনি খুব ডিপ্রেসড হয়ে যান বলে শুনেছি…

উ: খুব স্বাভাবিক সেটা। আমরা সকলেই হই। হয়তো আমি একটু বেশি। তাই ছেলে যে দিন চলে যায়, আমিও দিল্লি চলে যাই। এই বাড়িতে তখন থাকাটাই অসহ্য হয়ে ওঠে!

প্র: ছেলেকে ঠিক কী কারণে বাইরে পাঠালেন?

উ: এই সিদ্ধান্তটা আমিই নিয়েছিলাম। মনে হতো, এই পরিবেশটা ওর পক্ষে ঠিক হবে না। ক্লাস থ্রি থেকে ও বাইরে থাকে।

প্র: প্রসেনজিৎ সাধারণত এই ঘরে বসেই সাক্ষাৎকার দেন। ওঁর এত ছবি এখানে। আপনার একটাও নেই!

উ: ঠিক উপরের একটা ঘরে আমার ছবি আছে। যদিও সেই ঘরটা সাজানো হয়নি। এই বাড়ির পুরোটাই বুম্বাদা সাজিয়েছে। আমি কিচ্ছু করিনি। এ বার বুম্বাদার যখন ইচ্ছে হবে তখন আমার ঘর সাজাবে। তবে অভিনয় করি বলেই, নিজের ছবি দিয়ে বাড়ি সাজানোর বিরোধী আমি।

প্র: আপনাদের বিয়ের ১৫ বছর হয়ে গেল। এত বছরের দাম্পত্য জীবন কী ভাবে দেখছেন?

উ: আপনি বলছেন বলে আমার মনে পড়ল। নয়তো খেয়ালই করিনি। আসলে, পাশাপাশি দুটো মানুষ থাকলেই ঘষা লাগে। সেই ঘষা থেকেই সংঘর্ষ। যদি মানুষ দুটো আলাদা থাকে তা হলে স‌ংঘর্ষের সম্ভাবনা কমে যায়। জার্নিটা মসৃণ হয়। চার বছর হয়ে গেল আমি অধিকাংশ সময়ই দিল্লিতে থাকি। মিশুক বাড়ি এলে এখানে এসে থাকি।

প্র: মানে মিশুকই এখন আপনাদের যোগসূত্র?

উ: খানিকটা তো বটেই।

প্র: জার্নি মসৃণ হবে বলে আলাদা থাকা শুরু করলেন?

উ: (জোর হাসি) না না! আমরা দু’জনেই একে অপরকে স্পেস দেওয়ায় বিশ্বাস করি। টু মাচ ওভারল্যাপিং, টু মাচ ইন্টারফেয়ারিংয়ে কোনও সম্পর্ক ভাল থাকে না। এটা অন্যের পক্ষে বোঝা হয়তো সম্ভব নয়। আমার অনেক বন্ধু, আত্মীয় এটা নিয়ে প্রশ্ন করে। আমি বলতে বলতে ক্লান্ত, একসঙ্গে থাকাটা দাম্পত্য জীবনের সব নয়। সারা জীবন পাশাপাশি থেকেও স্বামী-স্ত্রীর খারাপ সম্পর্ক আমি দেখেছি। দূরত্বটাও জরুরি। তাতে পারস্পরিক প্রয়োজনটা বোঝা যায়। আমার আর বুম্বাদার জীবনে যাই থাকুক না কেন, আমি যদি কোনও সমস্যায় পড়ি ও-ই সবচেয়ে আগে এগিয়ে আসবে। আমার দিক থেকেও তাই।

প্র: আলাদা পরিচিতি তৈরি করবেন বলেই কি ব্যবসার দিকে গেলেন?

উ: কিছুটা তো বটেই। মিশুক বাইরে চলে যাওয়ার পর আমার অনেকটা সময় ফাঁকা থাকত। তার আগে ছ’বছর কাজ থেকে দূরে ছিলাম। এটাও আমার সিদ্ধান্ত ছিল। এখন যে কাজটা আমি করি সেটা নিয়ে প্রচণ্ড খুশি। আর বুম্বাদাও আমাকে সমর্থন করেছিল। আসলে, আমাদের একে অপরের থেকে কোনও প্রত্যাশা নেই। একটু ব্যাখ্যা করে বলি। এই প্রত্যাশা জিনিসটা মারাত্মক। ধীরে ধীরে বাড়ে। প্রথমে মনে হবে, মাসে একদিন ও আমাকে নিয়ে বেড়াতে যাক, তার পর প্রতি রবিবার একসঙ্গে কোথাও যেতে হবে। সেখান থেকে রোজ সন্ধে ৭টায় ফিরতে হবে। প্রত্যাশা কিন্তু দু’তরফে বাড়তেই থাকে। এটা তখনই হয়, যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন কোনও কাজ করে না। বিয়েটাই মেয়েদের সব নয়। সারাক্ষণ গালে হাত দিয়ে বরের কথা ভাবলে, উল্টো দিকের মানুষটাও বিরক্ত হবে।

প্র: আপনার প্রথম তিনটি প্রায়োরিটি?

উ: আমার ছেলে, কোম্পানি। তৃতীয় অভিনয়।

প্র: হিন্দিতে ‘চৌরঙ্গা’ আর ‘শব্‌’ করলেন। বাংলা ছবিতে আপনাকে দেখা যাচ্ছে না কেন?

উ: এটা আমারও প্রশ্ন। কেন কোনও পরিচালক আমার কথা ভাবছেন না জানি না! হয়তো এখানে থাকি না বলে ভাবছেন, অর্পিতাকে পাওয়া যাবে না। তবে শৈবাল মিত্রর সঙ্গে ‘চিত্রকর’ ছবিতে কাজ করেছি। এটাও ঠিক, বছরে একটার বেশি ছবি করতে পারব না। আমার কোম্পানিকে সময় দিতে হয়। তার পর মিশুকের ছুটির সময়টা ফাঁকা রাখতে হয়। এগুলো করে একটার বেশি ছবি করা সম্ভব নয়।

প্র: বাংলা ছবি দেখেন?

উ: নাহ‌্‌, সকলকে বলতে থাকি, আমাকে একটু ডিভিডি পাঠাও (হাসি)!

প্র: তার মানে প্রসেনজিতের ছবিও দেখেন না।

উ: না।

প্র: এমন কখনও হয়েছে, কোনও ছবি দেখে ওঁকে বলেছেন, আপনার ভাল লাগেনি।

উ: কোনও দিন না। এটা আমার খুব ক্লিশেও লাগে। যদি আমার বর ব্যাঙ্কে কাজ করত কিংবা ডাক্তার হতো তা হলে কি আমি ক’টা ফাইল সই করলে, কটা অপারেশন করলে জানাতে চাইতাম? আমরা সিনেমা নিয়ে আলোচনাও করি না। আর এটা বিয়ের শুরু থেকেই।

প্র: আপনার জীবনে ঘটনার কমতি নেই। আত্মজীবনী লেখার ইচ্ছে আছে?

উ: ইচ্ছে নেই। তবে লিখলে সব স্পাইসি স্টোরি লিখব (হাসি)!

প্র: প্রসেনজিৎ যেমন বলে থাকেন, নায়ক হতে হলে অনেক প্রেম করতে হয়। ওঁর প্রেমজীবন নিয়ে লিখবেন সেখানে?

উ: নিশ্চয়ই। আত্মজীবনী লিখতে গেলে সত্যি কথা লেখাই উচিত।

প্র: একটা স্পাইসি স্টোরির টিজার অন্তত দিন?

উ: আপনারা সাংবাদিক, খুঁজে বের করুন (জোর হাসি)!

 

 

 

Hundreds of Bangladeshi female workers are gathering in the missions in Riyadh and Jeddah after failing to get promised jobs or allegedly being tortured by employers.

Around 329 such female workers took shelter in the Bangladesh Embassy in Riyadh and the consulate general until Sunday and the number is growing everyday.

Bangladesh Labour Counsellor Sarwar Alam in Saudi Arabia told bdnews24.com that 502 female workers, who had taken shelter in the embassy, were sent back on Mar 29.

Out of the 329 who have taken shelter since then, 74 are in the Jeddah Consulate General while the rest are in the Bangladesh Embassy in Riyadh.

These workers have alleged they did not get the job as promised by agents in Bangladesh. They came to Saudi Arabia through private recruiters as legal workers.

Some of them said they were promised nurse and peon’s posts but they got cleaner’s posts.

Most of the workers who have taken shelter at the embassy and the consulate general have gone to Saudi Arabia to work as housemaid.

They have alleged that they were not provided food three times a day, let alone regular payments.

Some of them, on condition of anonymity, also alleged physical and sexual torture by their employers.

One of the workers told bdnews24.com: “I had been told that I would get the job of an assistance of a nurse in a hospital. But I was given the job of a cleaner in a house. Then I was tortured. So I fled and took shelter in the embassy three weeks ago.”

Many others, waiting for more time than her, do not know when they can return home.

Some have fallen sick in the overcrowded shelters stretched beyond the capacity.

Jeddah Consulate General official Abu Jara said it has the capacity to shelter 35 but 74 workers have taken shelter there.

He told bdnews24.com that the process to send back 34 of them already started.

He said it ‘would not be easy’ to send back the 40 others because they fled their employers.

In line with rules, the Saudi Arabia government has to be informed by the employers if any worker flees. It takes time to send back such workers without completing the administrative process.

“We’ve informed the foreign ministry and now we are waiting for the reply,” Abu Jara said.

Asked when all the female workers who have taken shelter in the embassy and the consulate general could be sent back, Bangladesh Ambassador in Saudi Arabia Golam Moshi told bdnews24.com that it is an ongoing process.

“It usually takes two to eight weeks for us to send any worker back after he or she comes to us,” he said.

“The workers are regularly taking shelter in the embassy and we are sending them back,” he said, adding that the Saudi authorities were ‘very cooperative’ in this regard.

“The workers leave job by breaching their contracts following misunderstanding most of times. But the Saudi authorities always cooperate with us to send them back,” he said.

Saudi Deputy Crown Prince Mohammed bin Salman

‘নির্যাতন- প্রতারণায়’ সৌদি ছাড়ছেন বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা

 

‘নির্যাতন- প্রতারণায়’ সৌদি ছাড়ছেন বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা

আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর আশায় সৌদি আরব পাড়ি দিলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না পাওয়ার পাশাপাশি গৃহকর্তাদের নির্যাতনের মুখে কাজ ছেড়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে আশ্রয় নিচ্ছেন বাংলাদেশের শত শত নারী শ্রমিক।

বিদেশ নামে সোনার হরিণের আশা বাদ দিয়ে দেশে ফেরার আশায় সৌদি আরবের রিয়াদ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ মিশনে রোববার পর্যন্ত প্রায় ৩২৯ জন নারী শ্রমিক আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিদিন বাড়ছে তাদের সংখ্যা।

এর আগে গত ২৯ মার্চ থেকে এক মাসে দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়া ৫০২ জন নারী শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের লেবার কাউন্সেলর সারোয়ার আলম।

নতুন করে আশ্রয়ে থাকা ৩২৯ নারীর মধ্যে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটে রয়েছেন ৭৪ জন, বাকি আড়াই শতাধিক রয়েছেন রিয়াদ দূতাবাসে।

এসব নারী শ্রমিকদের অভিযোগ, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বৈধভাবে শ্রমিক হিসেবে এলেও বাংলাদেশ থেকে দালালরা যেকাজের কথা তাদের বলেছিল, সৌদি আরব গিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেই কাজ তাদের দেওয়া হয়নি।

রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়া কয়েক নারী বলছেন, তাদের কাউকে কাউকে হাসপাতালে নার্সের সহযোগী ও পিয়নের কাজের কথা বলা হলেও সেখানে যাওয়ার পর দেওয়া হয়েছে ক্লিনারের কাজ।

আশ্রয় নেওয়া অধিকাংশই মূলত গৃহশ্রমিক, যারা ঠিকমতো বেতন না পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনবেলা ঠিকমত খাবার না পাওয়ার অভিযোগও করেছেন।

এছাড়া দিনে দিনে শারীরিক নির্যাতন বাড়তে থাকার পাশাপাশি যৌন নির্যাতনের কারণেও পালিয়ে দূতাবাসের শেল্টারহোমে আশ্রয় নিয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান কয়েক নারী শ্রমিক।

রিয়াদ দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়া নারী শ্রমিক (নাম প্রকাশ করা হল না) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দেশ থেকে তাকে হাসপাতালে নার্সের সহযোগী হিসেবে কাজের কথা বলা হয়েছিল। তাকে সেই কাজ না দিয়ে দেওয়া হয়েছে বাসার ক্লিনারের কাজ।

প্রতিশ্রুত কাজ না পাওয়ার সঙ্গে তার উপর যোগ হয় নির্যাতন। এসব সহ্য করতে না পেরে তিন সপ্তাহ আগে ওই বাসা থেকে পালিয়ে রিয়াদের দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়ার কথা জানান তিনি।

তিন সপ্তাহ দূতাবাসের আশ্রয়কেন্দ্রে কাটিয়ে দেওয়া এই নারীর মতো অনেকে আরও বেশি সময় ধরে রয়েছেন। কবে ফিরতে পারবেন, তাও জানেন না।

এদিকে দেশে ফেরার আশায় প্রতিদিনই আশ্রয়কেন্দ্রে নতুন নতুন নারী শ্রমিক আসায় বর্তমানে রিয়াদ দূতাবাস ও জেদ্দার মিশন, দুই স্থানেই আশ্রয় কেন্দ্রে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত নারী শ্রমিক রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই থাকা খাওয়ার সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট লেবার কাউন্সেল বিভাগের কর্মকতা আবু জারা জানান, জেদ্দার আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ জনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে রয়েছে ৭৪ জন।

এদের মধ্যে ৩৪ জনকে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলছেন, বাকি ৪০ জন নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের হেফাজত থেকে পালিয়ে আসায় তাদের দেশে পাঠানো সহজ হচ্ছে না।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো শ্রমিক পালিয়ে গেলে বা নিখোঁজ/হারিয়ে গেলে ওই শ্রমিকের হেফাজতকারী কর্তৃপক্ষ বা মালিককে বিষয়টি সৌদি সরকারকে অবহিত করতে হয়। এবিষয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম শেষ না করে শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানো সময়সাধ্য ব্যাপার।

ওই ৪০ নারী শ্রমিককে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আবু জারা বলেন, “আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি, উত্তরের অপেক্ষায় আছি।”

বর্তমানে আশ্রয় নেওয়া নারী শ্রমিকদের কবে নাগাদ দেশে পাঠানো যাবে- এমন প্রশ্নে শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানোকে দূতাবাসের একটি চলমান কার্যক্রম বলছেন সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানো একটি অনগোয়িং প্রসেস। সাধারণত কোনো শ্রমিক আমাদের কাছে আসার পর দুই থেকে আট সপ্তাহ সময় লাগে, এরমধ্যে আমরা সব প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিই।”

শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ ‘অত্যন্ত সহযোগিতাপরায়ণ’ মন্তব্য করে মসীহ বলেন, “নিয়মিতই শ্রমিকরা দূতাবাসে আশ্রয় নিচ্ছেন, তাদেরকে দেশে ফেরতও পাঠানো হচ্ছে।

“বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝির কারণে শ্রমিকরা চুক্তি ভঙ্গ করে কাজ ছেড়ে দেন। তারপরও তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ আমাদের সহযোগিতা করে।”

 

Courtesy: bdnews24.com,  Published: 02-05-2017, বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

 

 

By:  DANIEL GREENFIELD, April 27, 2017

Saudi Arabia has a very active ex-Muslim underground. Ex-Muslims in the Islamic theocracy are active on social media where they anonymously criticize Islam while maintaining an outward show of Islamic values in public. Because they know what will happen to them if they are caught.

Here’s what the UN Human Rights Council member is doing to one man for renouncing Islam in the kingdom that was ISIS  before there was an ISIS.

Saudi Arabia has sentenced an atheist to death for uploading a video in which he renounced Islam and the Prophet Mohammed.

The man has been identified locally as Ahmad Al Shamri who is in his 20s and from the town of Hafar al-Batin.

Saudi authorities first picked him up in 2014 after he uploaded the video showing men and women dancing which led to him being charged with atheism and blasphemy.

Saudi Arabia is a member of the UN Human Rights Council until 2019. It’s an open question as to how many people they can kill until their term is up. Meanwhile the UN spends most of its time criticizing human rights in Israel and the US.

Last year, the Saudis sentenced a man to 10 years in jail and 2,000 lashes on similar charges.

A court in Saudi Arabia has sentenced a man to ten years in prison and 2,000 lashes for expressing his atheism on Twitter.

The 28-year-old reportedly refused to repent, insisting what he wrote reflected his beliefs and that he had the right to express them.

The hardline Islamic state’s religious police in charge of monitoring social networks found more than 600 tweets denying the existence of Allah, ridiculing Koranic verses, accusing all prophets of lies and saying their teaching fuelled hostilities.

This is Islam. This is Sharia law.

Linda Sarsour has defended Saudi Arabia. Will she condemn this? Will her lefty defenders ask her to? Go listen to the crickets or to another man being murdered for Islam while Sarsour runs her usual routine.

আমাদের বেশীরভাগ লোকের জন্য যে কোন মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখা একটি মানসিক আঘাতের কারন হতে পারে। কিন্তু অনেক দিন ধরে এমন পরিস্থিতির মধ্যে থাকলে তখন এটা খুব স্বাভাবিকই মনে হবে। এমনই অনুভুতি হয়েছে সুদানিজ রিটারনির ব্লগের লেখকের ক্ষেত্রে বেশ কয়েক বছর ইউরোপে থেকে উত্তর সুদানের জুবাতে ফিরে আসার পর। এই অন্চলে দুই দশক ধরে রক্তাক্ত যুদ্ধ হচ্ছে।

বহুদিন ধরে আমি বুঝতে পারতাম না যে আমার কেন মনে হয় যে আমি কম বয়সে মারা যাব। ইউরোপে মানুষ আবহাওয়া নিয়ে যে ভাবে কথা বলে জুবাতে মানুষ দুর্ঘটনা আর মৃত্যু নিয়ে সেই ভাবে কথা বলে।

জুবাতে আসার ২ দিন পরে একটি ঘটনায় আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। আমি বাসার বাইরে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে বসে ছিলাম… এর পরে একটা চিৎকার… মনে হলো কেঊ ব্যথা পেয়েছে, ভয় আর বিশৃঙ্খলার মধ্যে আছে।

একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে…তার মাথা চুর্নবিচুর্ণ হয়ে গেছে….মনে হয় সে আঘাত পাবার সাথে সাথে মারা গেছে। তারপর শুনলাম যে আর একজন মারা গেছে…।

পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল যে সে মারা গেছে, কিন্তু তারপরেও কিছু লোক তার নাড়ী দেখার চেষ্টা করে ঘোষনা করলো যে সে মারা গেছে। তারা একই মার সন্তান!

ধীরে ধীরে ভিড় কমে গেল…কারন তাদের জন্য এটি জুবার আর একটি সাধারন দিন। এই মৃতের মা আর আমার জন্য এটি একটা দিন যা আমরা কখনো ভুলবোনা।

সুদানিজ রিটারনির শরীর খারাপ লাগছিল। সে ডা. কোনিয়োকোনিয়োকে তার ক্লিনিকে খুজে পায়নি। তার কারন হয়তবা ডা কোনিয়োকোনিয়ো উত্তর সুদানে স্বাস্থ্য বিষয়কে গুরুত্ব দেয়ার ব্যাপারে একটা ব্লগ লিখছিলেনঃ

আপনি কেমন করে বেছে নেবেন কোন সমস্যাটা নিয়ে আগে কাজ করবেন? যখন সুদানের সরকার আসলো তারা অনেক জিনিষ ঠিক করার কথা দিয়েছিল যেমন হাসপাতাল, ক্লিনিক আর স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি; পুরানো হাসপাতাল ঠিক করা হবে আর সব জায়গায় স্বাস্থ্য জরীপ করা হয়েছিল। তারপর কি হলো?

এটি দু:খজনক যে বেশীরভাগ কথা কাজে পরিণত হয়নি… স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমাদের বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিত।

দ্রিমা, দা সুদানিজ থিঙ্কার ব্লগ জানিয়েছে কি করে একটা শিশুকে ব্যর্থ একটি হত্যা পরিকল্পনায় ব্যবহার করা হয়েছেঃ

সাক্ষীরা বলল যে একজন অজ্ঞাত লোক একটা বাচ্চার হাতে বিষ্ফোরক দিয়ে তাকে মঞ্চে যেখানে কোদি ছিল সেখানে যেতে বলে। কিন্তু বাচ্চাটা মঞ্চে যাওয়ার আগে বিষ্ফোরকটি ফেটে যায়।

সে ওমর আল-বাশির যে ইটালিতে পোপের সাথে দেখা করেছে তার ছবিও পাঠিয়েছে!!

লিটল মিস ডালু নারীদের খৎনা করাকে যৌন হয়রানির সাথে তুলনা করে তার চিন্তা ব্যাখ্যা করেছেন:

আমি এই লেখার নাম “যৌন হয়রানি হিসাবে এফজিএম (ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন)” লিখেছি কারন আমি মনে করি মহিলাদের যৌনাংগের কিয়দংশ কাটা তাদের উপর একধরনের নির্যাতন। এই কাজের মাধ্যমে তাদেরকে শ্রেনীভুক্ত করা হয়, তার শরীরে হাত দেয়া হয় আর তার যৌনতা লঙ্ঘন করা হয় (তার দেহ থেকে অপ্রয়োজনীয় মনে করা একটা অংশকে বাদ দিয়ে)। তার শরীরকে আর একজনের আনন্দের জন্য ঠিক করা হয়। এটা আসলে নিয়ন্ত্রন যা সতীত্বের নামে করা হচ্ছে।

হোলহার্টেডলি সুদানিয়া জিজ্ঞেস করেছেন, ”দারফুরঃ কে শান্তি চায়?

… সুদানের দারফুরের আফ্রিকান ইউনিয়নের আর্মী বেইজে বিদ্রোহীদের আক্রমনে ১০ জন শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে যার ফলে আন্তর্জাতিক নিন্দার ঝড় উঠেছে। (উৎস)

আমি ভাবছি দারফুরবাসি এ ব্যাপারে কি ভাবছে, ”এই যে আবার শুরু হলো…স্বার্থপর বোকারা শান্তি প্রক্রিয়াটা যে কোন মূল্যে থামাতে চায়।”

খার্তুমে এসপিএলএম দলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযানের ব্যপারে দ্যা সুদানিজ আমেরিকান মন্তব্য করেছেন:

এই ধরনের কাজের কারনে সুদানকে একত্রে রাখা কষ্টকর। এটির ফলে ভুল ইঙ্গিত যায় শুধুমাত্র উত্তর সুদানবাসীর কাছে না, দক্ষিনবাসীদের কাছেও। দুই বছরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হচ্ছে, আশা আছে যে যুক্ত সরকার গনতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাবে আর ক্ষমতাশীল জাতীয় কংগ্রেস দল নির্বাচনের ফলাফল গ্রহন করবে, কিন্তু এখন মনে হয় এরকম কিছু হবেনা।

শেষে আমি আপনাদের কাছে পাথ২হোপের “নিউ বিগিনিং” নামক লেখা থেকে উদ্ধৃত করছিঃ

আমি ইংল্যান্ডে এসেছি আর খুশি যে আবহাওয়া ভালো, চারদিক ধুসর আর বাতাস বইছে একটু বৃষ্টিসহ যেমন আমি আশা করেছি।

… কালকে ট্রেনে করে আমি ইউনিভার্সিটি যাব, জানিনা কি আশা করছি, কিন্তু নিশ্চয় ভালো কিছু, আমাকে শুভেচ্ছা জানাবেন।

সুদানে নিশ্চয়ই কোথাও ভালো কিছু হচ্ছে, কিন্তু তার থেকে বেশী খারাপ জিনিষ হচ্ছে। সুদানিদের নতুন একটা শুরু দরকার।

সুদানীজ দ্রিমা

অনুবাদ প্রকাশের তারিখ 17 অক্টোবর 2007

 

ডয়েচে ভেলে:  নারী-পুরুষের সহবাস বা লিভ-ইন সম্পর্ক বিবাহের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না৷ সেক্ষেত্রে পুরুষ সঙ্গী সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে গেলে, মহিলা পার্টনার আইনত তাঁর কাছ থেকে খোরপোষ দাবি করতে পারেন না৷ তাই এ জন্য প্রয়োজন পৃথক আইন৷

ARCHIV - Ein junges Liebespaar geht Hand in Hand nahe dem brandenburgischen Müncheberg in den Sonnenuntergang, aufgenommen am 21.08.2005. Die Tage werden länger und die viel bedichteten und besungenen Frühlingsgefühle keimen auf. Foto: Patrick Pleul dpa/lbn (zu dpa-Themenpaket Frühlingsanfang am 19.03.2012) +++(c) dpa - Bildfunk+++ +***FREI FÜR SOCIAL MEDIA***

প্রতীকী ছবি

সহবাস বা লিভ-ইন করার আগে মহিলা পার্টনারকে জানতে হবে যে, তাঁর পুরুষ সঙ্গি বিবাহিত কিনা৷ বিবাহিত হলে তাঁর কাছ থেকে যে খোরপোষের দাবি করা যাবে না, সেটা মনে রাখতে হবে৷ তাই লিভ-ইন করার আগে পুরুষ বা মহিলার বৈবাহিক সম্পর্ক দেখে নেবার সতর্ক-বার্তা দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট৷

Killer Love: Love and Sexual relations have emerged as the third most common cause for the Murders in India last year. Foto: DW, Kolkata on 18-09-2013.

নারী-পুরুষের সহবাস বা লিভ-ইন সম্পর্ক বিবাহের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না

২০০৫ সালের পারিবারিক হিংসা আইনের ব্যাখ্যাকালে শীর্ষ আদালতের রায়: কোনো বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে যদি কোনো মহিলা জেনে বা না জেনে সহবাস করে থাকেন, তাহলে তা এই আইনের আওতায় পড়ে না৷ কারণ এটাকে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধরা যায় না৷ তাই পারিবারিক হিংসা আইন এখানে প্রযোজ্য হতে পারে না৷ বরং পুরুষের বিবাহিত স্ত্রী এই যুক্তিতে তাঁর স্বামীর লিভ-ইন মহিলার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারেন যে, ঐ মহিলা তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদের স্বামীর বা সন্তানের পিতার স্নেহ, ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করেছেন৷

সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এটা ভালোমতোই জানেন যে, একজন বিবাহিত পুরুষ লিভ-ইন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গেলে তাঁর সামাজিক বাস্তবতা একজন মহিলা এবং লিভ-ইন জাত সন্তানের পক্ষে কতটা বেদনাদায়ক ও কষ্টকর হতে পারে৷ বিশেষ করে, গরিব ও অশিক্ষিত মহিলাদের৷ এর প্রতিবিধানে শীর্ষ আদালত মনে করেন, সংসদের উচিত উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা৷ লিভ-ইন বা বিবাহ জাতীয় সম্পর্ক থাকা কোনো অপরাধ নয়, পাপও নয়, তবে ভারতের মতো দেশে সামাজিক দিক থেকে গ্রহণযোগ্যও নয়৷

লিভ-ইন জাতীয় সহবাসকে আইনি বৈধতা দিলে ভারতের মতো দেশে তার সামাজিক অভিঘাত কী হতে পারে? এর উত্তরে কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল স্টাডিস-এর অধ্যাপক দেবদাস ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, সামাজিক প্রতিবাদ বা সমালোচনা ওঠা স্বাভাবিক৷ কিন্তু সমাজসচেতন ব্যক্তিরা সহবাসের আইনি বৈধতা দেবার মধ্যে কোনো দোষ দেখেন না৷ তবে তার আগে নির্ধারিত করতে হবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষিত পুরুষ ও মহিলার মধ্যে লিভ-ইন বা সহবাসের সংজ্ঞাটা কী হবে৷ শুধুই যৌন সম্পর্ক নয়, থাকবে মানবিক দায়দায়িত্ব, জড়িত থাকবে সম্পত্তির অধিকারও৷ বহু পশ্চিমা দেশে লিভ-ইন নিয়ে আজ আর কেউ মাথা ঘামায় না৷ কিন্তু ভারতীয় সমাজে সেটা মেনে নেয়া সহজ হবে না, বলেন সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক দেবদাস ভট্টাচার্য৷

জৈনকা নারী বহু বছর লিভ-ইন করেছিলেন বিবাহিত ও দুই সন্তানের পিতা ভি. কে শর্মার সঙ্গে৷ পরে ভি. কে শর্মা ফিরে যান তাঁর আগের স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে৷ লিভ-ইন করা ঐ মহিলা ক্ষতিপূরণের মামলা করলে নিম্ন আদালত খোরপোষ হিসেবে উক্ত ব্যক্তিকে মাসে ২৫ হাজার টাকা করে খোরপোষ দেবার আদেশ দেন৷ কিন্তু উচ্চ আদালতে তা খারিজ হয়ে যায়৷ কারণ শীর্ষ আদালতে মতে, ঐ মহিলা জেনেশুনে বিবাহিত ঐ পুরুষকে লিভ-ইন পার্টনার করেছিলেন৷ কাজেই, চলতি আইনে ঐ লিভ-ইন সম্পর্ক বিবাহ জাতীয় নয়৷ বড় জোর উপ-পত্নী৷ লিভ-ইন সম্পর্ককে বিবাহ জাতীয় বলে গণ্য করতে হলে কয়েকটি মাপকাঠি থাকা জরুরি৷ যেমন কতদিনের সহবাস, গৃহস্থালি ভাগ, আর্থিক ব্যবস্থা, দৈহিক ও মানসিক সম্পর্ক, সন্তান প্রতিপালন, সামাজিকতা ইত্যাদি৷

অন্যান্য খবর: 

ডয়েচে ভেলে: পরপুরুষ কিংবা পরনারীর সঙ্গে বিছানায় যাওয়ার রগরগে কাহিনি নিয়ে ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলোকে সরব হতে দেখা যায়৷

Symbolbild - Ein Liebespaar im Bett

প্রতীকী ছবি

তবে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ই যখন জেনেশুনে দিনের পর দিন অন্যের সঙ্গে যৌন মিলন করেন এবং নিজেদেরকে ‘সুখি জুটি’ বলে পরিচয় দেন, তখন সে সংবাদ নিশ্চয়ই অনেক বেশি চাঞ্চল্যকর৷

লন্ডনের স্যারা মুর এবং জেফ ড্যানিয়েল তাই সংবাদ শিরনামে৷ ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড সান জানিয়েছে, ২০ বছর ধরে চলছে অবিবাহিত এই জুটির সংসার৷ দু’জন এই সময়ের মধ্যে নাকি ৫ হাজার ৪৮৫ জন নারী ও পুরুষের সঙ্গে বিছানায় গিয়েছে৷

আদতে এই দুজনই পেশায় সেক্স থেরাপিস্ট৷ নিয়ম অনুসারে এ নিয়ে যদি কেউ কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে তারা এই থেরাপিস্টদের কাছে আসবে, তারা পরামর্শ দেবে৷ প্রয়োজনে ‘কী করিলে কী হয়’ জাতীয় কথাবার্তা জানাবেন৷ কিন্তু স্যারা মুর এবং ড্যানিয়েল ভিন্ন কাজ করেন৷ তারা একটু ‘বিশেষ’ বলে চিকিৎসকরা তাদের কাছে রোগীদের পাঠান৷ এবং বেশিরভাই সময় ঐ ব্যক্তিদের সঙ্গে বিছানায় যেতে হয় তাদের৷

স্যারা মুর ১৯ বছরে ৩ হাজার ৩২৩ জন পুরুষের সঙ্গে বিছানায় গিয়েছেন৷ আর এদের মধ্যে ৫২ জন ছিল কৌমার্য হারায়নি এমন পুরুষ৷ আর স্যারার দীর্ঘদিনের বয়ফ্রেন্ড ড্যানিয়েল, যার বয়স ৪০, তিনি বিছানায় গিয়েছেন ২ হাজার ১৬২ জন নারীর সঙ্গে৷ আর তিনি ৪৯ জন নারীর কৌমার্য ভাঙাতে সহায়তা করেছেন৷ স্যারা মুর বললেন, ‘বিষয়টিকে আমরা কেবল সাহায্য বলেই মনে করছি৷ এটাকে কোনভাবেই গণিকা পেশা বলে মনে করি না আমরা৷ তিনি বলেন, সমস্যায় পড়া মানুষকে সহায়তা করা হচ্ছে চিকিৎসকদের পরামর্শে৷ এ থেকে আমাদের রোজগারও বেশ৷ আমাদের সঙ্গে মিলনের পর স্বভাতই সেই পুরুষ কিংবা মহিলা যৌনভীতি থেকে মুক্তি পান৷’

১৫ বছর বয়সে নিজের কুমারীত্ব হারান মুর৷ ২০ বছর বয়সে তার পরিচয় হয় ড্যানিয়েলের সঙ্গে৷ সেই থেকে তারা একসঙ্গে আছেন৷ আর তখন থেকেই তারা এই পেশাতেই রয়েছেন৷

 

ডয়চে ভেলে: গ্রীষ্মে বার্লিন রূপ নেয় বিশাল, খোলা আকাশের নীচে পার্টির একটি স্থান হিসেবে৷ বার্লিনবাসী সাধারণত যা ঘরের মধ্যে করতে ভালোবাসেন, গ্রীষ্মে সেসব করেন ঘরের বাইরে, জানাচ্ছেন ডয়চে ভেলের লিয়া ম্যাকডোনেল৷

গ্রীষ্মের প্রথম প্রখর সূর্যোদয়কে বার্লিনবাসী মনে করেন সবুজ সংকেত৷ এই সংকেত পেয়ে তাঁরা নিজেদের যাবতীয় ব্যক্তিগত বিষয়াদি খোলা আকাশের নীচে নিয়ে যান৷ এই সবের মধ্যে তাঁদের শোবার ঘরও পরে৷

ফলে শোবার ঘরের কাজ বলে আমরা যা মনে করি, মানে যৌন মিলন, সেটাও বার্লিনবাসী সারেন প্রকাশ্যে খোলা আকাশের নীচে৷ এই ধারা নাকি ক্রমশ বাড়ছে৷ আর এই কাজে স্থান বিবেচনার ক্ষেত্রে তাঁদের কোনো বাছবিচার নেই৷ পার্ক, রাস্তা, পার্কিং-এর জায়গা, নদীর পাড়, বাগান, এমনকি বাড়ির ছাদ – যেখানে সম্ভব সেখানেই শুয়ে পড়ছেন তাঁরা৷

এ বছর অবশ্য বার্লিনে গ্রীষ্ম একটু দেরিতে শুরু হয়েছে৷ ব্যাপক বৃষ্টিপাত এবং হঠাৎ ঠান্ডার জন্য এই পরিস্থিতি৷ তাসত্ত্বেও খোলা আকাশের নীচে যৌনাচার শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে৷ বিষয়টি এত তীব্র আকার ধারন করছে যে শহর কর্তৃপক্ষও উদ্বিগ্ন৷

জার্মান পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনযায়ী, ২০১২ সালে মুক্ত পরিবেশে সঙ্গমে অংশ নেওয়া ২৩৯ ব্যক্তিকে জরিমানা করেছে পুলিশ৷ গড়ে তাঁদের দেড়শো ইউরো করে জরিমানা করা হয়েছে৷ আগের তিন বছরের তুলনায় জরিমানার এই হার প্রায় দ্বিগুন৷

বার্লিনের সবচেয়ে বড়, বিখ্যাত বাগানটি হচ্ছে ‘টিয়ারগার্টেন’ এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘ট্রেপটাওয়ার পার্ক’৷ মুক্ত পরিবেশে শারীরিক মিলনের জন্য এই দু’টি জায়গাই বার্লিনবাসীর সবচেয়ে পছন্দ৷ টিয়ারগার্টেনের একটি অংশে মিলনে আগ্রহীদের ভিড় এত বেশি যে সেখানে পুলিশ বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা চালুতে বাধ্য হয়েছে৷

তবে বার্লিনের সব বাসিন্দাই যে এমনটা চান, তা কিন্তু নয়৷ সাধারণভাবে তাঁরা অত্যন্ত উদার হলেও অনেকে খোলা আকাশের নীচে এরকম সঙ্গম রোধ বা অন্ততপক্ষে নিয়ন্ত্রণের পক্ষে৷ জার্মান আইনে অবশ্য পাবলিক প্লেসে নগ্ন হতে কোনো বাধা নেই৷ আরো বিভ্রান্তিকর ব্যাপার হচ্ছে, খোলা আকাশের নীচে যৌন মিলনেও আইন অনুযায়ী বাধা নেই – শুধু অন্তত একটি টাওয়েল ব্যবহার করে নিজেদের ঢেকে রাখতে হবে৷

রাজধানীতে নগ্ন সংস্কৃতি

গভীর রাতে খোলা পরিবেশে উন্মত্ত যৌন মিলন, যার দর্শক শুধু কাঠবিড়ালিরা – এমন হলেও না হয় মানা যেত৷ কিন্তু প্রকাশ্যে দিনেরবেলা এরকম মিলন দৃশ্য বোধহয় শোভনীয় নয়৷ বিশেষ করে যাঁরা যৌনতার বিষয়াদি দরজার আড়ালে, চার দেয়ালের মধ্যে রাখতে পছন্দ করি, তাঁদের জন্য বিব্রতকরও৷

তবে বার্লিনে কিন্তু নগ্নতাবাদ, জার্মান ভাষায় যাকে বলে ‘ফ্রাইকর্পারকুলট্যুর’ নতুন নয়৷ ১৯২০ সালের দিকে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সেখানে নগ্ন দেহের প্রদর্শনী শুরু হয়৷ আর নগ্নতা বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয় বার্লিনে, ১৯২৯ সালে৷

২০১৩ সাল, মানে চলতি বছর খোলা আকাশের নীচে সঙ্গম প্রতিরোধে বেশ সক্রিয় পুলিশ৷ সামাজিক ন্যায়বিচারের স্বার্থে এটা করছে তারা৷ কিন্তু প্রতিরোধ সহজ নয়৷ সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পথে কিংবা গাড়ি থামিয়ে হঠাৎ হয়ত কোনো জুটি কোথাও শুরু করে দিল সঙ্গম৷ ফলে দ্রুত তাঁদের ঠেকানো কঠিন৷ তবে এই চর্চা বাড়ায় শহরের খানিকটা লাভও হচ্ছে৷ প্রকাশ্যে সঙ্গমরতদের ধরতে পারলেই আর্থিক জরিমানা করছে পুলিশ৷ এভাবে অনেক টাকা আয় হচ্ছে৷

অবশ্য জরিমানার ক্ষেত্রে নিয়ম খানিকটা শিথিল করেছে কর্তৃপক্ষ৷ বেকাররা এক্ষেত্রে ছাড় পাবে৷ রাস্তাঘাটে সঙ্গমরত অবস্থায় ধরা পড়লে তাঁদের জরিমানা ৩৪ ইউরো৷

বার্লিনবাসী এবং সস্তায় বার্লিন ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য আমার কিছু পরামর্শ রয়েছে৷ আপনাদের উচিত হবে গ্রীষ্মে ঠিকঠাক পোশাক পরে রাস্তায় বের হওয়া৷ তাতে করে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানগুলো রোদে পোড়া থেকে রক্ষা পাবে৷ সুস্থ জীবনের জন্য এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷

 

 

 

ডয়েচে ভেলে:  মধ্যপ্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড কোন দেশকে বলা হতো জানেন? উত্তরটা হলো লেবানন৷ সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি মানুষের মাঝে ছিল না কোনো কুসংস্কার৷ কিন্তু বর্তমানে গর্ভপাতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় জটিলতায় পড়েছেন সেখানকার নারীরা৷

বিবাহের আগে যৌন সম্পর্ক এবং এ কারণে গর্ভধারণ লেবাননের সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়, কেননা তা ধর্মবিরোধী৷ একইসাথে সেখানে গর্ভপাত কেবল অবৈধই নয় একেবারে নিষিদ্ধ৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৯ বছর বয়সি এক নারী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ তাই বাধ্য হয়ে দারস্থ হয়েছিলেন প্রাইভেট ক্লিনিকের৷ নিজের অর্থ না থাকায় বন্ধুদের কাছ থেকে ৩৭০ ইউরো জোগাড় করে ক্লিনিকের ব্যয় মেটাতে হয়েছিল৷ কিন্তু ক্লিনিকটি ছিল অপরিচ্ছন্ন এবং চিকিৎসক মোটেও অভিজ্ঞ ছিলেন না বলে জানান ঐ নারী৷ কিন্তু সমাজের ভয়ে গর্ভপাতে বাধ্য হয়েছিলেন৷

লেবাননের আইন অনুযায়ী, কেবল মার জীবন বাঁচানোর খাতিরে গর্ভপাত বৈধ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈরুতের এক গাইনোকলোজিস্ট জানিয়েছেন, প্রতি মাসে তিন থেকে চার জনের গর্ভপাত করিয়ে থাকেন তিনি৷

যৌন শিক্ষার অভাব

লেবাননের প্রথম যৌনবিদ বা সেক্সোলজিস্ট সানদ্রিনে আতাল্লাহ মনে করেন, তাঁর দেশে যৌন শিক্ষার অভাবই নারীদের অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের কারণ৷ তিনি জানান, লেবাননের কোনো অবিবাহিত মেয়ে কখনো গাইনোকলোজিস্টের কাছে যান না৷ আর স্কুলে কেবল জীববিদ্যা পড়ানোর সময় অল্পকিছু বিষয় থাকে, যা শিক্ষকরা বিস্তারিত পড়ান না, বরং এড়িয়ে যান৷

সানদ্রিনের বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন লেবাননের গাইনোকলোজিস্ট মোনা হাশেম-বারুদ৷ মোনা জানান, গর্ভনিরোধক পদ্ধতি এবং যৌনতা নিয়ে নারীদের মধ্যে ভুল ধারণা প্রচলিত আছে৷ মায়েরাও তাঁদের ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন৷ মায়েরা মেয়েদের বলেন, গর্ভনিরোধক পদ্ধতি, যেমন পিল ব্যবহার করলে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে৷

শারীরিক ও মানসিক ক্ষত

লেবাননের একটি ক্লিনিকে গর্ভপাত করাতে লাগে তিনশ থেকে ছয়শ ডলার৷ কিন্তু সরকারি হাসপাতালগুলোতে লাগে ৩ হাজার ডলার৷ তাই বেশিরভাগ নারী ক্লিনিকগুলোকেই বেছে নেন৷ এইসব ক্লিনিক স্বাস্থ্যসম্মত না হওয়ায় প্রায়ই শারীরিক অসুস্থতার শিকার হন নারীরা৷

লেবাননে গাইনোকলোজি সোসাইটির সভাপতি ডাক্তার ফয়সাল এল কাক জানালেন, তিনি এমন অনেক ঘটনা দেখেছেন, যেখানে গর্ভপাতের সময় জরায়ু ভালোমত পরিষ্কার না করায় রক্তক্ষরণ অব্যাহত থাকে৷ অনেক সময় জরায়ুতে সংক্রমণ হতে দেখা যায়৷ কোনো কোনো সময় এমন পরিস্থিতি দাঁড়ায় মেয়েটির জরায়ু অথবা তার জীবনের মধ্যে একটিকে বাঁচাতে হবে৷

কিন্তু সমাজে পরিবারের মুখ রক্ষার জন্য লেবাননের নারীরা এসব ঝুঁকি নিতে বাধ্য হচ্ছেন৷ এর ফলে শারীরিক সমস্যার সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্যেনরও অবনতি হচ্ছে তাঁদের৷

কেবল যে সরকার এসব ঘটনায় ভ্রুক্ষেপ করছে না এমন নয়, বেসরকারি সংস্থাগুলোরও একই অবস্থা৷ তারা এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের কোনো চেষ্টা করছে না৷