Archive for the ‘নারী’ Category

প্রসেনজিতের সঙ্গে ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবন, অভিনয় তো আছেই, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় এখন বিজনেস ওম্যানও বটে! একান্ত আলাপচারিতায় উঠে এসেছে প্রসেনজিৎ-অর্পিতার দাম্পত্যজীবনের অজানা কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: আনন্দবাজার পত্রিকার দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ।

বলতে গেলে এখন তিনি প্রবাসী বাঙালি। ব্যবসার সূত্রে দিল্লিতেই থাকেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। শর্টস-টপ আর ছোট চুলের নায়িকাকে দেখলে বোঝা দুষ্কর, তাঁর বছর চোদ্দোর একটি ছেলে আছে। প্রসেনজিৎ-অর্পিতার ছেলে তৃষাণজিৎ ছুটিতে কলকাতায় এলেই অর্পিতাও চলে আসেন। ব্যস্ততার ফাঁকেই আড্ডায় অর্পিতা যা বললেন তা নিচে দেয়া হলো।

প্র: এই সময়টা আপনাদের ফ্যামিলি রিইউনিয়নের মতো।

উ: বছরের দু’টো সময় আমরা তিনজন একসঙ্গে হই। এই গরমকাল আর শীতে। এই সময় কোনও কাজ রাখতে চাই না। এ বার ‘শব্‌’-এর প্রচারে অনেক ঘোরাঘুরি করতে হচ্ছে।

প্র: ছেলে কি এই সময় প্রচুর আবদার করে?

উ: আসলে আবদার করার আগেই আমরা সব কিছু করে ফেলি। বাড়ি এলে কিছু কিছু জিনিস খেতে চায়। সেগুলো করে দিতে হয়। মিশুকের সে ভাবে কোনও বায়না নেই। এই সময়টায় ও বাড়িতেই থাকতে চায়। কোথাও যেতেও চায় না। আমিই জোর করে বেড়াতে নিয়ে যেতাম। প্রতি বছর আমি আর ছেলে মিলে কোথাও যাই। গত বার মাসাইমারা গিয়েছিলাম। এ বার ছবি রিলিজের কারণে সেটা হচ্ছে না।

প্র: মা-ছেলের এই ট্রিপগুলোয় প্রসেনজিৎ সামিল হন না? আপনারা তিনজন বাইরে ছুটি কাটাচ্ছেন এ রকম তো দেখা যায় না!

উ: কোনও বারই নয়। বুম্বাদা আসলে এতটাই ব্যস্ত যে, আমরাও বলি না। ও নিজে যে খুব বেড়াতে ভালবাসে তাও নয়। মিশুকের যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন থেকে আমরা দু’জন ঘুরে বেড়াই। তবে মিশুককে বলেছি, শীতের ছুটিতে কোথাও যাব। যদিও না গেলে ছেলে কিছুই বলবে না। ও বাড়িতেই মজা করতে চায়।

প্র: মিশুক হস্টেলে চলে গেলে আপনি খুব ডিপ্রেসড হয়ে যান বলে শুনেছি…

উ: খুব স্বাভাবিক সেটা। আমরা সকলেই হই। হয়তো আমি একটু বেশি। তাই ছেলে যে দিন চলে যায়, আমিও দিল্লি চলে যাই। এই বাড়িতে তখন থাকাটাই অসহ্য হয়ে ওঠে!

প্র: ছেলেকে ঠিক কী কারণে বাইরে পাঠালেন?

উ: এই সিদ্ধান্তটা আমিই নিয়েছিলাম। মনে হতো, এই পরিবেশটা ওর পক্ষে ঠিক হবে না। ক্লাস থ্রি থেকে ও বাইরে থাকে।

প্র: প্রসেনজিৎ সাধারণত এই ঘরে বসেই সাক্ষাৎকার দেন। ওঁর এত ছবি এখানে। আপনার একটাও নেই!

উ: ঠিক উপরের একটা ঘরে আমার ছবি আছে। যদিও সেই ঘরটা সাজানো হয়নি। এই বাড়ির পুরোটাই বুম্বাদা সাজিয়েছে। আমি কিচ্ছু করিনি। এ বার বুম্বাদার যখন ইচ্ছে হবে তখন আমার ঘর সাজাবে। তবে অভিনয় করি বলেই, নিজের ছবি দিয়ে বাড়ি সাজানোর বিরোধী আমি।

প্র: আপনাদের বিয়ের ১৫ বছর হয়ে গেল। এত বছরের দাম্পত্য জীবন কী ভাবে দেখছেন?

উ: আপনি বলছেন বলে আমার মনে পড়ল। নয়তো খেয়ালই করিনি। আসলে, পাশাপাশি দুটো মানুষ থাকলেই ঘষা লাগে। সেই ঘষা থেকেই সংঘর্ষ। যদি মানুষ দুটো আলাদা থাকে তা হলে স‌ংঘর্ষের সম্ভাবনা কমে যায়। জার্নিটা মসৃণ হয়। চার বছর হয়ে গেল আমি অধিকাংশ সময়ই দিল্লিতে থাকি। মিশুক বাড়ি এলে এখানে এসে থাকি।

প্র: মানে মিশুকই এখন আপনাদের যোগসূত্র?

উ: খানিকটা তো বটেই।

প্র: জার্নি মসৃণ হবে বলে আলাদা থাকা শুরু করলেন?

উ: (জোর হাসি) না না! আমরা দু’জনেই একে অপরকে স্পেস দেওয়ায় বিশ্বাস করি। টু মাচ ওভারল্যাপিং, টু মাচ ইন্টারফেয়ারিংয়ে কোনও সম্পর্ক ভাল থাকে না। এটা অন্যের পক্ষে বোঝা হয়তো সম্ভব নয়। আমার অনেক বন্ধু, আত্মীয় এটা নিয়ে প্রশ্ন করে। আমি বলতে বলতে ক্লান্ত, একসঙ্গে থাকাটা দাম্পত্য জীবনের সব নয়। সারা জীবন পাশাপাশি থেকেও স্বামী-স্ত্রীর খারাপ সম্পর্ক আমি দেখেছি। দূরত্বটাও জরুরি। তাতে পারস্পরিক প্রয়োজনটা বোঝা যায়। আমার আর বুম্বাদার জীবনে যাই থাকুক না কেন, আমি যদি কোনও সমস্যায় পড়ি ও-ই সবচেয়ে আগে এগিয়ে আসবে। আমার দিক থেকেও তাই।

প্র: আলাদা পরিচিতি তৈরি করবেন বলেই কি ব্যবসার দিকে গেলেন?

উ: কিছুটা তো বটেই। মিশুক বাইরে চলে যাওয়ার পর আমার অনেকটা সময় ফাঁকা থাকত। তার আগে ছ’বছর কাজ থেকে দূরে ছিলাম। এটাও আমার সিদ্ধান্ত ছিল। এখন যে কাজটা আমি করি সেটা নিয়ে প্রচণ্ড খুশি। আর বুম্বাদাও আমাকে সমর্থন করেছিল। আসলে, আমাদের একে অপরের থেকে কোনও প্রত্যাশা নেই। একটু ব্যাখ্যা করে বলি। এই প্রত্যাশা জিনিসটা মারাত্মক। ধীরে ধীরে বাড়ে। প্রথমে মনে হবে, মাসে একদিন ও আমাকে নিয়ে বেড়াতে যাক, তার পর প্রতি রবিবার একসঙ্গে কোথাও যেতে হবে। সেখান থেকে রোজ সন্ধে ৭টায় ফিরতে হবে। প্রত্যাশা কিন্তু দু’তরফে বাড়তেই থাকে। এটা তখনই হয়, যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন কোনও কাজ করে না। বিয়েটাই মেয়েদের সব নয়। সারাক্ষণ গালে হাত দিয়ে বরের কথা ভাবলে, উল্টো দিকের মানুষটাও বিরক্ত হবে।

প্র: আপনার প্রথম তিনটি প্রায়োরিটি?

উ: আমার ছেলে, কোম্পানি। তৃতীয় অভিনয়।

প্র: হিন্দিতে ‘চৌরঙ্গা’ আর ‘শব্‌’ করলেন। বাংলা ছবিতে আপনাকে দেখা যাচ্ছে না কেন?

উ: এটা আমারও প্রশ্ন। কেন কোনও পরিচালক আমার কথা ভাবছেন না জানি না! হয়তো এখানে থাকি না বলে ভাবছেন, অর্পিতাকে পাওয়া যাবে না। তবে শৈবাল মিত্রর সঙ্গে ‘চিত্রকর’ ছবিতে কাজ করেছি। এটাও ঠিক, বছরে একটার বেশি ছবি করতে পারব না। আমার কোম্পানিকে সময় দিতে হয়। তার পর মিশুকের ছুটির সময়টা ফাঁকা রাখতে হয়। এগুলো করে একটার বেশি ছবি করা সম্ভব নয়।

প্র: বাংলা ছবি দেখেন?

উ: নাহ‌্‌, সকলকে বলতে থাকি, আমাকে একটু ডিভিডি পাঠাও (হাসি)!

প্র: তার মানে প্রসেনজিতের ছবিও দেখেন না।

উ: না।

প্র: এমন কখনও হয়েছে, কোনও ছবি দেখে ওঁকে বলেছেন, আপনার ভাল লাগেনি।

উ: কোনও দিন না। এটা আমার খুব ক্লিশেও লাগে। যদি আমার বর ব্যাঙ্কে কাজ করত কিংবা ডাক্তার হতো তা হলে কি আমি ক’টা ফাইল সই করলে, কটা অপারেশন করলে জানাতে চাইতাম? আমরা সিনেমা নিয়ে আলোচনাও করি না। আর এটা বিয়ের শুরু থেকেই।

প্র: আপনার জীবনে ঘটনার কমতি নেই। আত্মজীবনী লেখার ইচ্ছে আছে?

উ: ইচ্ছে নেই। তবে লিখলে সব স্পাইসি স্টোরি লিখব (হাসি)!

প্র: প্রসেনজিৎ যেমন বলে থাকেন, নায়ক হতে হলে অনেক প্রেম করতে হয়। ওঁর প্রেমজীবন নিয়ে লিখবেন সেখানে?

উ: নিশ্চয়ই। আত্মজীবনী লিখতে গেলে সত্যি কথা লেখাই উচিত।

প্র: একটা স্পাইসি স্টোরির টিজার অন্তত দিন?

উ: আপনারা সাংবাদিক, খুঁজে বের করুন (জোর হাসি)!

 

 

Author

লিখেছেন: অজয় দাশগুপ্ত

 

বদলে যাচ্ছে দেশ, বদলে গেছে রাজনীতি। আগে রাজনীতির কথা বলি। তার বদলানো আসলেই কি নতুন কিছু?

দেশ স্বাধীনের পর পর আমরা হোঁচট খেয়েছিলাম ভুট্টোর আগমনে। জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় আসতেই পারেন। একবার যুদ্ধ হলেই কোনো দেশ চিরকালের দুশমন হয়ে যায়, তেমন না-ও হতে পারে। তবে পাকিস্তানের ব্যাপারে সেটা ঠিক নয়। তারা এখন অবধি আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়ের মতো সেদেশে একজনকেও খুঁজে পাওয়া যায় না যার প্রগতিবাদের প্রতি কমিটমেন্ট সবসময় একধরনের।

এই লেখা যখন লিখছি, দেখলাম, হামিদ মীর নাকি তার পিতাকে দেওয়া বর্তমান সরকারের সম্মাননা ফেরত দেবেন। বুঝুন এবার। হতে পারে এই সম্মাননার কারণে তিনি তার দেশে নিরাপদে বেঁচে থাকতে পারবেন না। আবার এ-ও হতে পারে এখন তার মনে হচ্ছে বাংলাদেশিদের দেওয়া সম্মাননা ‘না-জায়েজ’। এই হল পাকিস্তান।

বলছিলাম ভুট্টো সাহেবের কথা। দেশ মুক্ত হওয়ার পরপর ঢাকায় আসা এই বাংলাদেশবিরোধী পাকিস্তানির জন্য দরদ উথলে উঠেছিল কিছু মানুষের। রাজপথে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না আর মনে মনে দোয়া দিয়ে পথ ভাসানো পাকিদরদীরা আসলে তখন থেকেই সক্রিয়।

সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে এরা সুবিধা করতে না পারলেও আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করিনি। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সেক্যুলার সরকারপ্রধান তাজউদ্দীনকে অবহেলা করেছিল নির্মমভাবে। তাঁর প্রজ্ঞা-মেধা-দূরদর্শিতা ব্যবহার করতে পারলে হয়তো অনেক বিপদ এড়ানো সম্ভব হত।

এর ফাঁকে বেড়ে ওঠা পাকিদরদী চক্র মোশতাকের হাত ধরে প্রথম সামনে এলেও আওয়ামী লীগ কোনো এক অজ্ঞাত কারণে জিয়াউর রহমানকে যত বড় শত্রু মনে করে, মোশতাককে হয়তো তত বড় দুশমন মনে করে না। অথবা দলের কলঙ্ক বলে তাকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু বাস্তবতা এই খন্দকার মোশতাকই বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর সরকার গঠন করে খুনিদের ‘সূর্যসন্তান’ ডেকেছিল। সেই থেকে রাখঢাকের রাজনীতিতে ঢুকে পড়া আওয়ামী লীগও এখন পরিবর্তনের শিকার।

এদেশের মানুষের মন বোঝা কঠিন কিছু না। আসলে আমরা বলতে চাই না। কারণ বললে আমরা ছোট হয়ে যাই। জিয়াউর রহমানের স্বল্পকালীন শাসন কি এত প্রতাপ আর সাহস রাখে যে দেশ পাল্টে দিতে পারে? মূলত মানুষের মনে মনে ‘পাকিস্তান প্রেম’ আগে থেকেই বাসা বাঁধতে শুরু করেছিল। তারা সুযোগের সন্ধানে ছিল মাত্র।

সেই সময় থেকে আজ অবধি আওয়ামী লীগের সমর্থন কমে-বাড়ে, কিন্তু বিএনপির কমে না। কারণ বিএনপি জামায়াতও না, আবার বামও না। দেশের মধ্যবিত্তের মনে মুসলিম মনোভাব প্রবল বলে তারা বাঙালি হতে দ্বিধান্বিত। অথচ বাঙালি না হলে পহেলা বৈশাখে যাওয়া যায় না। শহীদ মিনারে যাওয়া যায় না। শোভাযাত্রায় সামিল হওয়া যায় না।

জামায়াতের আদর্শ ভালো লাগলেও তারা কট্টর জীবনযাপন মানতে পারেন না। তাদের চাই জিন্নাহ সাহেবের মতো জীবন। ধর্মের নামে রাজনীতি ও সমাজকে বশে রেখে নিজে পানাহার করতে হবে। স্যুট-কোট-টাই পরা ছাড়বে না। নিজেরা দিল্লি যাবে। ভারতে শপিং করবে, ডাক্তার দেখাবে, কিন্তু জনগণকে করা হবে মৌলবাদী ও ইসলামাবাদমুখী।

জিয়াউর রহমানের আমলে কর্নেল ওসমানী হেরেছিলেন ভোটে। মানুষ মুক্তিযুদ্ধের সিপাহসালারকে সেভাবে মূল্যায়ন করেনি। কেন করেনি? কারণ তারা তখন থেকেই বদলে যাচ্ছিল। বদলে না গেলে হাফেজ্জি হুজুর কীভাবে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন মানুষের ভোটে? শাহ আজিজ কি কেবল কারো দয়ায় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন? মানুষ তাকে নেয়নি? বদলে যাওয়া বাংলাদেশে মাওলানা মান্নান থেকে নিজামী বা হেফাজতের হুজুর সবাই জায়েজ।

এই রাজনীতির ফল এতদিন বিএনপি একা খেলেও এখন আর তা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ বুঝে গেছে তারা আসলে ‘মাইনরিটি’। ভোটের অংকে তারা ৪০ ভাগও না। বাকি ৬০ ভাগ আওয়ামীবিরোধী। এই সমীকরণে পাওয়ারে থাকতে হলে সমঝোতার বিকল্প আছে?

নিন্দুকের বলে মোটা অংকের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় নাকি হেফাজতের একাংশ আওয়ামীমুখী। আবার এ-ও বলা হয় হেফাজত এই সরকারের আমলেই জামায়াতের বিকল্প হতে চায়। হতে চাওয়াটা অন্যায়ের কিছু নয়। কিন্তু আপত্তি থাকে তাদের মত ও পথের বিবেচনায়। যে ১৩ দফা তাদের, আদর্শ কি আছে সেখানে? ভালো করে দেখুন– ১৩ দফা জামাতের চেয়েও ভয়াবহ। অথচ তারা এখন দেশের সমঝোতার রাজনীতিতে চমৎকার জায়গায়। কথা হচ্ছে এই সমঝোতা কি আওয়ামী লীগকে আসলে নিরাপদে রাখবে?

মনে পড়ছে সেই ভয়াবহ দিনরাতের কথা। হেফাজতের শাপলা সমাবেশ নিয়ে কিছু মিডিয়ার মাতম। অাজ যিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সেই এরশাদ সাহেব পানি পান করানোর দায়িত্ব নিয়ে গুনাহ মওকুফের পাশাপাশি সরকার পতনে সমর্থন দিয়েছিলেন। বিএনপি তো মানুষকে ঘর থেকে বেরুনোর ডাক দিয়ে দিয়েছিল। সেই রাতে নিরাপত্তা বাহিনী অার প্রধানমন্ত্রীর সাহস একত্রিত না হলে কী হত, বলা মুশকিল। এর পরপর তখনকার অাওয়ামী শপথ অার অাজ ভাস্কর্য সরানোর সমঝোতার সমীকরণ মেলে না। বরং কেন জানি মনে হয়:

“তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে।”

এটা নিশ্চিত দেশের বেশিরভাগ মানুষের মন বুঝে আওয়ামী লীগ মত বদলেছে। তবে এটা মনে রাখা দরকার বাজারে দুধ থাকলে তার ভক্তেরা ঘোল গিলবে না। জামায়াত-বিএনপি-হেফাজত একাকার হলে মিলে যায়। অাওয়ামী লীগ সেখানে ‘মিসফিট’।

তবে এটা বুঝতে পারছি কৌশলে বাগে রাখার রাজনীতি চলছে। দড়ি শিথিল হলে বা শেখ হাসিনা গেলেই গণভোটের মতো কিছু একটা হয়ে পতাকা যাবে। জাতীয় সঙ্গীত ‘হারাম’ হবে! দেশের নাম কী হবে, কেউ বলতে পারে না! সে চক্রান্ত না রুখে অাপস মানে মুক্তিযুদ্ধকে বিপদে ফেলে দেওয়া। স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেওয়া দল যদি তা করে এদেশে বাম ডান কেউই নিরাপদ থাকবে না।

বেশ কয়েক বছর অাগে বহুল প্রচারিত ঘোর অাওয়ামীবিরোধী দৈনিকটি স্লোগান দিয়েছিল: ‘বদলে যাও, বদলে দাও।’

এখন অাওয়ামী লীগও তার শিকার। ‘অাওয়ামী মুসলিম লীগ’ থেকে ‘অাওয়ামী লীগ’এ রূপান্তরিত দল এখন অাবার উল্টো রথে। বদলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ভীত দেশ দেখছে, দেখছেন বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন ও প্রয়াতেরা।

সামনে কী অাছে কেউ জানে না। শুধু খোলস বদলালেই কি সমাজ বদলায়, না দেশ?

 

অজয় দাশগুপ্ত, কলামিস্ট। প্রকাশিত: বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম, ১ মে, ২০১৭

 

Hundreds of Bangladeshi female workers are gathering in the missions in Riyadh and Jeddah after failing to get promised jobs or allegedly being tortured by employers.

Around 329 such female workers took shelter in the Bangladesh Embassy in Riyadh and the consulate general until Sunday and the number is growing everyday.

Bangladesh Labour Counsellor Sarwar Alam in Saudi Arabia told bdnews24.com that 502 female workers, who had taken shelter in the embassy, were sent back on Mar 29.

Out of the 329 who have taken shelter since then, 74 are in the Jeddah Consulate General while the rest are in the Bangladesh Embassy in Riyadh.

These workers have alleged they did not get the job as promised by agents in Bangladesh. They came to Saudi Arabia through private recruiters as legal workers.

Some of them said they were promised nurse and peon’s posts but they got cleaner’s posts.

Most of the workers who have taken shelter at the embassy and the consulate general have gone to Saudi Arabia to work as housemaid.

They have alleged that they were not provided food three times a day, let alone regular payments.

Some of them, on condition of anonymity, also alleged physical and sexual torture by their employers.

One of the workers told bdnews24.com: “I had been told that I would get the job of an assistance of a nurse in a hospital. But I was given the job of a cleaner in a house. Then I was tortured. So I fled and took shelter in the embassy three weeks ago.”

Many others, waiting for more time than her, do not know when they can return home.

Some have fallen sick in the overcrowded shelters stretched beyond the capacity.

Jeddah Consulate General official Abu Jara said it has the capacity to shelter 35 but 74 workers have taken shelter there.

He told bdnews24.com that the process to send back 34 of them already started.

He said it ‘would not be easy’ to send back the 40 others because they fled their employers.

In line with rules, the Saudi Arabia government has to be informed by the employers if any worker flees. It takes time to send back such workers without completing the administrative process.

“We’ve informed the foreign ministry and now we are waiting for the reply,” Abu Jara said.

Asked when all the female workers who have taken shelter in the embassy and the consulate general could be sent back, Bangladesh Ambassador in Saudi Arabia Golam Moshi told bdnews24.com that it is an ongoing process.

“It usually takes two to eight weeks for us to send any worker back after he or she comes to us,” he said.

“The workers are regularly taking shelter in the embassy and we are sending them back,” he said, adding that the Saudi authorities were ‘very cooperative’ in this regard.

“The workers leave job by breaching their contracts following misunderstanding most of times. But the Saudi authorities always cooperate with us to send them back,” he said.

Saudi Deputy Crown Prince Mohammed bin Salman

‘নির্যাতন- প্রতারণায়’ সৌদি ছাড়ছেন বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা

 

‘নির্যাতন- প্রতারণায়’ সৌদি ছাড়ছেন বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা

আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর আশায় সৌদি আরব পাড়ি দিলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না পাওয়ার পাশাপাশি গৃহকর্তাদের নির্যাতনের মুখে কাজ ছেড়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে আশ্রয় নিচ্ছেন বাংলাদেশের শত শত নারী শ্রমিক।

বিদেশ নামে সোনার হরিণের আশা বাদ দিয়ে দেশে ফেরার আশায় সৌদি আরবের রিয়াদ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ মিশনে রোববার পর্যন্ত প্রায় ৩২৯ জন নারী শ্রমিক আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিদিন বাড়ছে তাদের সংখ্যা।

এর আগে গত ২৯ মার্চ থেকে এক মাসে দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়া ৫০২ জন নারী শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের লেবার কাউন্সেলর সারোয়ার আলম।

নতুন করে আশ্রয়ে থাকা ৩২৯ নারীর মধ্যে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটে রয়েছেন ৭৪ জন, বাকি আড়াই শতাধিক রয়েছেন রিয়াদ দূতাবাসে।

এসব নারী শ্রমিকদের অভিযোগ, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বৈধভাবে শ্রমিক হিসেবে এলেও বাংলাদেশ থেকে দালালরা যেকাজের কথা তাদের বলেছিল, সৌদি আরব গিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেই কাজ তাদের দেওয়া হয়নি।

রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়া কয়েক নারী বলছেন, তাদের কাউকে কাউকে হাসপাতালে নার্সের সহযোগী ও পিয়নের কাজের কথা বলা হলেও সেখানে যাওয়ার পর দেওয়া হয়েছে ক্লিনারের কাজ।

আশ্রয় নেওয়া অধিকাংশই মূলত গৃহশ্রমিক, যারা ঠিকমতো বেতন না পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনবেলা ঠিকমত খাবার না পাওয়ার অভিযোগও করেছেন।

এছাড়া দিনে দিনে শারীরিক নির্যাতন বাড়তে থাকার পাশাপাশি যৌন নির্যাতনের কারণেও পালিয়ে দূতাবাসের শেল্টারহোমে আশ্রয় নিয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান কয়েক নারী শ্রমিক।

রিয়াদ দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়া নারী শ্রমিক (নাম প্রকাশ করা হল না) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দেশ থেকে তাকে হাসপাতালে নার্সের সহযোগী হিসেবে কাজের কথা বলা হয়েছিল। তাকে সেই কাজ না দিয়ে দেওয়া হয়েছে বাসার ক্লিনারের কাজ।

প্রতিশ্রুত কাজ না পাওয়ার সঙ্গে তার উপর যোগ হয় নির্যাতন। এসব সহ্য করতে না পেরে তিন সপ্তাহ আগে ওই বাসা থেকে পালিয়ে রিয়াদের দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়ার কথা জানান তিনি।

তিন সপ্তাহ দূতাবাসের আশ্রয়কেন্দ্রে কাটিয়ে দেওয়া এই নারীর মতো অনেকে আরও বেশি সময় ধরে রয়েছেন। কবে ফিরতে পারবেন, তাও জানেন না।

এদিকে দেশে ফেরার আশায় প্রতিদিনই আশ্রয়কেন্দ্রে নতুন নতুন নারী শ্রমিক আসায় বর্তমানে রিয়াদ দূতাবাস ও জেদ্দার মিশন, দুই স্থানেই আশ্রয় কেন্দ্রে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত নারী শ্রমিক রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই থাকা খাওয়ার সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট লেবার কাউন্সেল বিভাগের কর্মকতা আবু জারা জানান, জেদ্দার আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ জনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে রয়েছে ৭৪ জন।

এদের মধ্যে ৩৪ জনকে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলছেন, বাকি ৪০ জন নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের হেফাজত থেকে পালিয়ে আসায় তাদের দেশে পাঠানো সহজ হচ্ছে না।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো শ্রমিক পালিয়ে গেলে বা নিখোঁজ/হারিয়ে গেলে ওই শ্রমিকের হেফাজতকারী কর্তৃপক্ষ বা মালিককে বিষয়টি সৌদি সরকারকে অবহিত করতে হয়। এবিষয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম শেষ না করে শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানো সময়সাধ্য ব্যাপার।

ওই ৪০ নারী শ্রমিককে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আবু জারা বলেন, “আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি, উত্তরের অপেক্ষায় আছি।”

বর্তমানে আশ্রয় নেওয়া নারী শ্রমিকদের কবে নাগাদ দেশে পাঠানো যাবে- এমন প্রশ্নে শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানোকে দূতাবাসের একটি চলমান কার্যক্রম বলছেন সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানো একটি অনগোয়িং প্রসেস। সাধারণত কোনো শ্রমিক আমাদের কাছে আসার পর দুই থেকে আট সপ্তাহ সময় লাগে, এরমধ্যে আমরা সব প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিই।”

শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ ‘অত্যন্ত সহযোগিতাপরায়ণ’ মন্তব্য করে মসীহ বলেন, “নিয়মিতই শ্রমিকরা দূতাবাসে আশ্রয় নিচ্ছেন, তাদেরকে দেশে ফেরতও পাঠানো হচ্ছে।

“বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝির কারণে শ্রমিকরা চুক্তি ভঙ্গ করে কাজ ছেড়ে দেন। তারপরও তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ আমাদের সহযোগিতা করে।”

 

Courtesy: bdnews24.com,  Published: 02-05-2017, বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

 

 

গাজীপুরের শ্রীপুর রেলগেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনের পাশে বাবা-মেয়ের লাশ

এনটিভি অনলাইন:  গাজীপুরের শ্রীপুরে শিশু মেয়েসহ চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক বাবা। আজ শনিবার সকালে শ্রীপুর রেলগেট এলাকার এন এন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পাশে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

শিশু মেয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরও বিচার না পাওয়ায় এবং নির্যাতনের শিকার হওয়ায় বাবা-মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন।

এ ঘটনায় পুলিশ শ্রীপুরের গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল হোসেন (৫২) ও তাঁর ছেলে মিঠুনকে (৩০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

নিহতরা হলো ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার কালাই গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন সরকারের ছেলে হজরত মাহমুদ (৬৫) ও হজরতের পালিত মেয়ে আয়েশা আক্তার (৭)। আয়েশা আক্তার শ্রীপুরের হেরা পটকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ত।

এলাকাবাসী জানায়, শনিবার সকালে হজরত মাহমুদ মেয়ে আয়েশাকে নিয়ে শ্রীপুর রেলগেট এলাকার এন এন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পাশে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনের পাশে পায়চারী করতে থাকেন। সকাল ৯টার দিকে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন ওই এলাকায় পৌঁছালে হজরত মাহমুদ প্রথমে তার মেয়েকে চলন্ত ট্রেনের নিচে ছুড়ে ফেলে নিজেও ওই ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এতে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই বাবা-মেয়ের মৃত্যু হয়।

নিহতের স্ত্রী হালিমা খাতুন ও স্বজনরা জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে দিনমজুর হজরত মাহমুদ শ্রীপুর উপজেলার কর্নপুর ছিটপাড়া গ্রামের হালিমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর হজরত স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকেন। অভাব-অনটনের সংসারের জোগান দিতে হালিমা ভিক্ষাবৃত্তি ও অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। নিঃসন্তান এ দম্পতি আয়েশাকে দত্তক নিয়ে লালন-পালন করতেন।

পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, ফারুক নামের এক বখাটে যুবক প্রায় দুই মাস আগে আয়েশাকে ধর্ষণ করে। থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়া হলে ফারুক ও তার লোকজন হালিমা ও তার স্বামীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন এ ঘটনার বিচারের দায়িত্ব নেন। কিন্তু কোনো মীমাংসা ছাড়াই তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেন। এ ঘটনার পর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে শ্রীপুর মডেল থানায় গরু চুরির অভিযোগ করেন হালিমা। এ ঘটনারও মীমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে দায়িত্ব নেন ওই ইউপি সদস্য আবুল হোসেন। কিন্তু এবারও তিনি কোনো সমাধান করেননি। হজরত মাহমুদ এ ঘটনার বিচারের জন্য তাগাদা দিলে এতে দুর্বৃত্তরা হালিমা ও তাঁর স্বামীর ওপর আরো বেশি ক্ষুব্ধ হয়। একপর্যায়ে তারা মারধর করার জন্য দা-লাঠি নিয়ে শুক্রবার দিনভর হজরত মাহমুদকে খোঁজাখুঁজি করে এবং হুমকি দেয়। এতে হজরতের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। শুক্রবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা হজরতকে তাঁর বাড়িতে মারধর করে।
একপর্যায়ে গরু চুরি ও শিশু মেয়ে ধর্ষণের ঘটনার বিচার না পেয়ে এবং প্রভাবশালীদের নানা হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে আতঙ্কিত হজরত ক্ষোভে ও অভিমানে শিশু মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কায়সার আহমেদ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, গরু চুরির ঘটনা সমাধান করে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে গোসিঙ্গা ইউপির সদস্য আবুল হোসেন কোনো সমাধান দেননি। উপরন্তু শুক্রবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা হজরতকে তাঁর বাড়িতে গিয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ইউপি সদস্য ও তাঁর ছেলেকে শনিবার আটক করা হয়েছে।

টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত দুজনের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।

==================

বাবা-মেয়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনা: আবুল হোসেন ব্যাপারী ২ দিনের রিমান্ডে

 
প্রথম আলো: ০১ মে ২০১৭
বাবা ও মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় আবুল হোসেন ব্যাপারীকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম তাওহিদ আল আজাদ এ আদেশ দেন।
গত শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশনের পশু হাসপাতাল-সংলগ্ন এলাকায় দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন হযরত আলী (৪৫) ও তাঁর মেয়ে আয়েশা আক্তার (৮)।
স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক হোসেন আয়েশাকে জোর করে সাইকেলে ওঠাতেন। জঙ্গলের দিকে নিয়ে যেতে চাইতেন জোর করে। বেশ কয়েকবার একই অভিযোগ করায় হযরত আলী গিয়েছিলেন ফারুক হোসেনের বাবা ফজলু মিয়ার কাছে। কোনো প্রতিকার তিনি পাননি। অনেকটা নিরুপায় হয়েই পরে তিনি গোসিংগা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল হোসেন ব্যাপারীর কাছে যান। তিনিও বিচার করেননি। পাগল বলে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন হযরত আলীকে। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের কাছে অভিযোগ করায় ফারুক হোসেন জোর করে হযরত আলীর গরু নিয়ে যান। এ ঘটনারও বিচার হয়নি। শেষ পর্যন্ত গত ৪ এপ্রিল হযরত আলী শ্রীপুর থানায় অভিযোগ করেন। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। বিচার না পাওয়ায় কষ্ট পেয়েছিলেন হযরত আলী। ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। বেঁচে থেকেও সন্তানকে নিরাপত্তা দিতে না পারায় বিপন্ন বোধ করেছিলেন। এরপরই মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। ঘটনার পর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হোসেন ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।এ মামলায় রেলওয়ে থানার পুলিশ ঢাকার মহানগর হাকিম তাওহিদ আল আজাদের আদালতে আবুল হোসেন ব্যাপারীকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চান। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

=====================

 

বাবা–মেয়ের আত্মহত্যার দায় কার?

 

একমাত্র সন্তানসহ স্বামী আত্মঘাতী হয়েছেন। বেঁচে থাকার অবলম্বনটুকু হারিয়ে কেবলই কাঁদছেন হালিমা বেগম। 

প্রথম আলো: ০১ মে ২০১৭

মাত্র এক দিন বয়সে আয়েশা আক্তারকে নিজেদের কাছে নিয়ে এসেছিলেন নিঃসন্তান দম্পতি হযরত আলী ও হালিমা বেগম। গত আট বছরে এক দিনের জন্যও মেয়েকে কাছছাড়া করেননি। সেই মেয়েকে সুরক্ষা দিতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন বাবা।

গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনের পশু হাসপাতাল-সংলগ্ন এলাকায় দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন হযরত আলী (৪৫) ও তাঁর মেয়ে আয়েশা আক্তার (৮)। পরিবার বলছে, হযরত আলী মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।

গতকাল রোববার গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় বসে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন হালিমা বেগম। কান্না থামাতে পারছিলেন না সব হারানো ওই নারী। থানায় বসে তিনি তাঁর স্বামী-সন্তান হারানোর কাহিনি বলছিলেন। ওই কাহিনির পরতে পরতে ছিল সমাজ, স্থানীয় সরকার আর পুলিশ প্রশাসনের উপেক্ষার কথা।

হালিমা বলছিলেন, তাঁদের ৮ বছরের মেয়েটি হেরাপটকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আয়েশা প্রায়ই অভিযোগ করত স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক হোসেনের (২২) নামে। ফারুক তাকে জোর করে সাইকেলে ওঠাত। জঙ্গলের দিকে নিয়ে যেতে চাইত জোর করে। বেশ কয়েকবার একই অভিযোগ করায় হযরত আলী গিয়েছিলেন ফারুক হোসেনের বাবা ফজলু মিয়ার কাছে। কোনো প্রতিকার তিনি পাননি। অনেকটা নিরুপায় হয়েই পরে তিনি গোসিংগা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল হোসেন ব্যাপারীর কাছে যান। তিনিও বিচার করেননি। পাগল বলে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন হযরত আলীকে। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের কাছে অভিযোগ করায় ফারুক হোসেন জোর করে হযরত আলীর গরু নিয়ে যান। এ ঘটনারও বিচার হয়নি। শেষ পর্যন্ত গত ৪ এপ্রিল হযরত আলী শ্রীপুর থানায় অভিযোগ করেন। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। বিচার না পাওয়ায় কষ্ট পেয়েছিলেন হযরত আলী। ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। বেঁচে থেকেও সন্তানকে নিরাপত্তা দিতে না পারায় বিপন্ন বোধ করেছিলেন।

তবে হালিমা আক্তার একবারও ভাবতে পারেননি মেয়েকে সঙ্গে করে বাবা মরতে যাচ্ছেন। সকালবেলা নাশতা করে মেয়ের হাত ধরে খুব স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন হযরত আলী। ঘণ্টা দেড়েকের ব্যবধানে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শোনেন স্বামী-সন্তানের মৃত্যুর খবর।

হযরত আলীদের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কর্ণপুর গ্রামে। লোকের অভাবে বাড়ি খাঁ খাঁ করছিল কাল। প্রতিবেশী মাজেদা বেগম বলেন, ফারুক হোসেন শিশু আয়েশাকে উত্ত্যক্ত করতেন এ কথা তাঁরা আগেও শুনেছেন। তিনি নিজেই মেয়েটির পায়ে আঘাতের চিহ্ন ও ব্যান্ডেজ দেখেছিলেন। কী করে পা কাটল জানতে চাইলে আয়েশার বাবা-মা সে সময় জানিয়েছিলেন, ফারুক হোসেন জোর করে সাইকেলে তোলার চেষ্টা করছিলেন। সাইকেলের চেইনে আটকে আয়েশার পা মারাত্মকভাবে কেটে যায়।

প্রতিবেশীরা বলছিলেন, সে সময় যদি স্থানীয় প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, পুলিশ এগিয়ে আসত, তাহলে হয়তো এভাবে বাবা-মেয়ের প্রাণ যেত না। বাবা ও মেয়ের এই আত্মহত্যার দায় কার?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হালিমা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে দুবার তাঁর বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ঘটনার পর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হোসেন ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে যে ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ৮ বছরের শিশুকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ, তিনি এখন পলাতক। টঙ্গী রেলওয়ে ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, হালিমা বেগম ফারুক হোসেনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওই ছয়জনের মধ্যে শুধু ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবুল হোসেন ব্যাপারী ছাড়া সবাই পলাতক।

বাবা-মেয়ের আত্মঘাতী হওয়ার খবর নাড়া দিয়েছে সবাইকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও চলছে আলোচনা। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকেয়া রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। বিপদে পড়ে অনেক মানুষ তাঁদের কাছে আসেন। কিন্তু হযরত আলী আসেননি। এ ঘটনার পর হালিমা বেগম যেন সুবিচার পান, সে ব্যাপারে তাঁদের নজর থাকবে। আজ সোমবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক যাচ্ছেন গোসিঙ্গা ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামে।

===========

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান: বাবা-মেয়ের মৃত্যুর জন্য বিচারহীনতা দায়ী

হালিমা বেগমকে সমবেদনা জানান রিয়াজুল হক।

প্রথম আলো: ০১ মে ২০১৭

ট্রেনের নিচে মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যাকারী হযরত আলীর মৃত্যুর জন্য বিচারহীনতাকেই দায়ী করছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি বলেন, মেয়ের সুরক্ষার দাবিতে বিচার না পেয়েই তিনি এমনটা করেছেন।

গত শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনের পশু হাসপাতাল-সংলগ্ন এলাকায় দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন হযরত আলী (৪৫) ও তাঁর মেয়ে আয়েশা আক্তার (৮)। এ ঘটনায় আজ সোমবার হযরত আলীর স্ত্রী হালিমা বেগমকে সমবেদনা জানাতে শ্রীপুরের কর্ণপুর সিটপাড়া গ্রামে যান কাজী রিয়াজুল হক। সেখানেই তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘হযরত আলী ও তাঁর স্ত্রী হালিমা বেগম তাঁদের মেয়ের দুর্ঘটনাসহ পারিপার্শ্বিক ঘটনা নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাজপতি ও শ্রীপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু বিচারে আশ্বস্ত হতে না পেরে অনেকটা অভিমানেই মেয়েকে নিয়ে বাবা পরপারে চলে যান। এ ঘটনার মাধ্যমে হযরত আলী আমাদের অনেকটা লজ্জা দিয়ে গেলেন। তাই এসব ঘটনা এড়াতে সমাজের সব ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

স্বামী সন্তান হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন হালিমা বেগম।

রিয়াজুল হক জানান, এ ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন হালিমার পক্ষ থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে। এ সময় তিনি হালিমার নিরাপত্তাসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

এ সময় শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা বেগম অসহায় হালিমার হাতে তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পাঁচ হাজার টাকা তুলে দিয়ে বলেন, শিগগিরই হালিমার জন্য বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক শরিফ উদ্দিন, সহকারী পরিচালক রবিউল ইসলাম, সাজ্জাদুর রহমান, ইউএনডিপির উপদেষ্টা শর্মিলা রাসূল, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা বেগম প্রমুখ। এর আগে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

এদিকে নিহত বাবা ও মেয়ের মরদেহ রাতে কর্ণপুর পৌঁছালে সকাল সাড়ে দশটায় দাফন করা হয়।

===========================

অন্যান্য খবর:

‘মা’ ডেকে ঘনিষ্ঠতা, পরে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ
শাজনীন হত্যা মামলা: শহীদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি
সীতাকুণ্ডে গ্রেপ্তার দম্পতির জবানবন্দি: যেভাবে জঙ্গিবাদে জড়ান স্বামী-স্ত্রী

 

আমাদের বেশীরভাগ লোকের জন্য যে কোন মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখা একটি মানসিক আঘাতের কারন হতে পারে। কিন্তু অনেক দিন ধরে এমন পরিস্থিতির মধ্যে থাকলে তখন এটা খুব স্বাভাবিকই মনে হবে। এমনই অনুভুতি হয়েছে সুদানিজ রিটারনির ব্লগের লেখকের ক্ষেত্রে বেশ কয়েক বছর ইউরোপে থেকে উত্তর সুদানের জুবাতে ফিরে আসার পর। এই অন্চলে দুই দশক ধরে রক্তাক্ত যুদ্ধ হচ্ছে।

বহুদিন ধরে আমি বুঝতে পারতাম না যে আমার কেন মনে হয় যে আমি কম বয়সে মারা যাব। ইউরোপে মানুষ আবহাওয়া নিয়ে যে ভাবে কথা বলে জুবাতে মানুষ দুর্ঘটনা আর মৃত্যু নিয়ে সেই ভাবে কথা বলে।

জুবাতে আসার ২ দিন পরে একটি ঘটনায় আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। আমি বাসার বাইরে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে বসে ছিলাম… এর পরে একটা চিৎকার… মনে হলো কেঊ ব্যথা পেয়েছে, ভয় আর বিশৃঙ্খলার মধ্যে আছে।

একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে…তার মাথা চুর্নবিচুর্ণ হয়ে গেছে….মনে হয় সে আঘাত পাবার সাথে সাথে মারা গেছে। তারপর শুনলাম যে আর একজন মারা গেছে…।

পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল যে সে মারা গেছে, কিন্তু তারপরেও কিছু লোক তার নাড়ী দেখার চেষ্টা করে ঘোষনা করলো যে সে মারা গেছে। তারা একই মার সন্তান!

ধীরে ধীরে ভিড় কমে গেল…কারন তাদের জন্য এটি জুবার আর একটি সাধারন দিন। এই মৃতের মা আর আমার জন্য এটি একটা দিন যা আমরা কখনো ভুলবোনা।

সুদানিজ রিটারনির শরীর খারাপ লাগছিল। সে ডা. কোনিয়োকোনিয়োকে তার ক্লিনিকে খুজে পায়নি। তার কারন হয়তবা ডা কোনিয়োকোনিয়ো উত্তর সুদানে স্বাস্থ্য বিষয়কে গুরুত্ব দেয়ার ব্যাপারে একটা ব্লগ লিখছিলেনঃ

আপনি কেমন করে বেছে নেবেন কোন সমস্যাটা নিয়ে আগে কাজ করবেন? যখন সুদানের সরকার আসলো তারা অনেক জিনিষ ঠিক করার কথা দিয়েছিল যেমন হাসপাতাল, ক্লিনিক আর স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি; পুরানো হাসপাতাল ঠিক করা হবে আর সব জায়গায় স্বাস্থ্য জরীপ করা হয়েছিল। তারপর কি হলো?

এটি দু:খজনক যে বেশীরভাগ কথা কাজে পরিণত হয়নি… স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমাদের বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিত।

দ্রিমা, দা সুদানিজ থিঙ্কার ব্লগ জানিয়েছে কি করে একটা শিশুকে ব্যর্থ একটি হত্যা পরিকল্পনায় ব্যবহার করা হয়েছেঃ

সাক্ষীরা বলল যে একজন অজ্ঞাত লোক একটা বাচ্চার হাতে বিষ্ফোরক দিয়ে তাকে মঞ্চে যেখানে কোদি ছিল সেখানে যেতে বলে। কিন্তু বাচ্চাটা মঞ্চে যাওয়ার আগে বিষ্ফোরকটি ফেটে যায়।

সে ওমর আল-বাশির যে ইটালিতে পোপের সাথে দেখা করেছে তার ছবিও পাঠিয়েছে!!

লিটল মিস ডালু নারীদের খৎনা করাকে যৌন হয়রানির সাথে তুলনা করে তার চিন্তা ব্যাখ্যা করেছেন:

আমি এই লেখার নাম “যৌন হয়রানি হিসাবে এফজিএম (ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন)” লিখেছি কারন আমি মনে করি মহিলাদের যৌনাংগের কিয়দংশ কাটা তাদের উপর একধরনের নির্যাতন। এই কাজের মাধ্যমে তাদেরকে শ্রেনীভুক্ত করা হয়, তার শরীরে হাত দেয়া হয় আর তার যৌনতা লঙ্ঘন করা হয় (তার দেহ থেকে অপ্রয়োজনীয় মনে করা একটা অংশকে বাদ দিয়ে)। তার শরীরকে আর একজনের আনন্দের জন্য ঠিক করা হয়। এটা আসলে নিয়ন্ত্রন যা সতীত্বের নামে করা হচ্ছে।

হোলহার্টেডলি সুদানিয়া জিজ্ঞেস করেছেন, ”দারফুরঃ কে শান্তি চায়?

… সুদানের দারফুরের আফ্রিকান ইউনিয়নের আর্মী বেইজে বিদ্রোহীদের আক্রমনে ১০ জন শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে যার ফলে আন্তর্জাতিক নিন্দার ঝড় উঠেছে। (উৎস)

আমি ভাবছি দারফুরবাসি এ ব্যাপারে কি ভাবছে, ”এই যে আবার শুরু হলো…স্বার্থপর বোকারা শান্তি প্রক্রিয়াটা যে কোন মূল্যে থামাতে চায়।”

খার্তুমে এসপিএলএম দলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযানের ব্যপারে দ্যা সুদানিজ আমেরিকান মন্তব্য করেছেন:

এই ধরনের কাজের কারনে সুদানকে একত্রে রাখা কষ্টকর। এটির ফলে ভুল ইঙ্গিত যায় শুধুমাত্র উত্তর সুদানবাসীর কাছে না, দক্ষিনবাসীদের কাছেও। দুই বছরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হচ্ছে, আশা আছে যে যুক্ত সরকার গনতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাবে আর ক্ষমতাশীল জাতীয় কংগ্রেস দল নির্বাচনের ফলাফল গ্রহন করবে, কিন্তু এখন মনে হয় এরকম কিছু হবেনা।

শেষে আমি আপনাদের কাছে পাথ২হোপের “নিউ বিগিনিং” নামক লেখা থেকে উদ্ধৃত করছিঃ

আমি ইংল্যান্ডে এসেছি আর খুশি যে আবহাওয়া ভালো, চারদিক ধুসর আর বাতাস বইছে একটু বৃষ্টিসহ যেমন আমি আশা করেছি।

… কালকে ট্রেনে করে আমি ইউনিভার্সিটি যাব, জানিনা কি আশা করছি, কিন্তু নিশ্চয় ভালো কিছু, আমাকে শুভেচ্ছা জানাবেন।

সুদানে নিশ্চয়ই কোথাও ভালো কিছু হচ্ছে, কিন্তু তার থেকে বেশী খারাপ জিনিষ হচ্ছে। সুদানিদের নতুন একটা শুরু দরকার।

সুদানীজ দ্রিমা

অনুবাদ প্রকাশের তারিখ 17 অক্টোবর 2007